তখনও গোঁফের রেখা ওঠেনি
মরেনি ললি খাবার লোভ
সাদা কাল চোখের
মধ্যবিত্ত বাসনা নিয়েই
বড় হচ্ছিলাম
ভয় পেতাম
তোমার বাড়ির কুকুরটাকে
কালো হাউন্দ ডগ
আমার মধ্যবিত্ত সাহসের দেয়ালে চিড় ধরিয়ে দিত
তোমাকে দেখলেই ,
কেমন
লেজ তুলে আদুরে হয়ে যেত
আমি তখন অদৃশ্য......।
আমার দোমড়ানো শার্ট
অথবা পুরোনো জুতো
তোমার মনে কোন রেখাপাত করতো না
কিন্তু বিস্তর ব্যবধানটা
তোমার বাড়ির সবার চোখে লেখা ছিল
তারপরও আমি আসতাম
খেলার মহে নয়
আমার মোহ ছিল অন্য কোথাও _,
আমি ফাস্ট ক্লাস এর যাত্রী নই
তোমার মোহময় চোখ
আমায় ভুলিয়ে দিতো
বাবার কম মাইনে
মায়ের ত্যাগ তিতিক্ষা
বোনের পুরনো ফ্রক _,
আমি রোজ দু বেলা দু ক্রোশ হাঁটতাম
যাবার পথে হয়তো
করমচা
নয়তো
ঝিঙে ফুল
হাতে থাকতো
তুমি আলোড়িত হতে
আমি হাসি নিয়ে ঘরে ফিরতাম ।
আমি হয়তো কখনো কেউ ছিলাম না
শুধু তোমার চোখ বলতো ভিন্ন কথা _।
বয়স বেড়ে চললো
তুমি ফ্রক ছেড়ে দিলে
আমি তখন গোঁফ নিয়ে অস্বস্তিতে
হাই স্কুলের বারান্দায় ,
প্রিয় সময় গুলো কমতে থাকলো
কমতে থাকলো, পাশে বসার নিয়ম
কমতে থাকলো,তোমার চোখের নিবিড়তা
প্রিয় করমচা আর ঝিঙে ফুল
তোমার চোখে সস্তা হয়ে গেলো .....
মধ্যবিত্তের দেয়াল আমি ভাংতে পারিনি
পারিনি ছাড়তে দোম্রানো শার্ট ,পুরনো জুতো ।