এই এলে তুমি বিষাদের অবসরে
এই চলে গ্যালে হাতের মুঠোর রোদ্দুর মাড়িয়ে
গানের কাছে যেতে বেহালার আকুতি
সময় অল্প তাই থেকে গ্যাছে জোনাকি
টিপ-টিপ আলো জ্বালাবে বলে
জোসনা আজ চুপ করলো
জোনাকি এই সুযোগে তোমার প্রেমে পড়লো।
এই মুঠোঘড়ি গান
সব ছেড়ে চৌচির
ঠোটে হাসি ম্লান;
এক টুকরো রোদ এঁকে
চোখের কোণে ওঠাও সূর্য
তাই আজ হেসে হেসে দিগন্ত পেরুলাম।
না, যাইনি বহুদূর-
বহুকাল থেকে যাবো বলে
হারানো বিজ্ঞপ্তি ছিঁড়ে ফেলেছে
ফুটপাতে কিশোরের মার্বেলে
অর্ধ-নগ্ন শহরের গোপনে
এই সেই জোনাকি
ল্যাম্পপোস্ট থেকে বেশী আলোকিত হতে চায় বলে
প্রেমে পড়লো তোমার।
আয় হায় জোনাকি!
কি সর্বনাশ!
শুনছো সোনালি চিলের ডানায়
ভর করে ধুমকেতু উড়ে যায়
সাগরের চৌচিরে
সৈকতে বেলীফুল বেচে যেই যুবতী
তার প্রিয় তুমি জোনাকি
তবে-
তুমি চাও কাকে?
তুমি চাও ঝাড়বাতি
চুল শুকায় যে বৈদ্যুইতিক বাতাসে
আয় হায় জোনাকি!
সৈকতের যুবতি, খোলা চুলে প্রেয়সী
যার চুলে লেগে আছে স্বয়ং সমুদ্রের পানি
বালুকণা রোদে চমকায় দুপুরে
যার প্লেটের অর্ধেক ভাত খায় কুকুরে
আয় হায় জোনাকি!
সৈকতে বেলীফুল বেচে যেই যুবতী
তার প্রিয় তুমি জোনাকি।