তয় তোমারে খুব মনে পড়ে,
তুমি ছিলা বইলা গত চৈত্রে সূর্য এত নিষ্ঠুর ছিলো না
আমিও সমুদ্র পাইতা বইসা ছিলাম তোমার চোখে
পৃথিবীর উষ্ণতা আমারে আর ছুঁইতো ক্যামনে
তয় তোমারে খুব মনে পড়ে, পড়লেই বা কি
জীবন দিয়া তোমারে পাইলাম না, মন তো ঠুনকো জিনিস।
ঈদ আসতেছে, মানুষ বাড়ি ফিরা আইবো
বৈশাখ আসতেছে, বৃষ্টি ফিরা আইবো
তয় তুমি আর আসবা না বইলাই
তোমারে খুব মনে পড়ে,
মনে ফাটল ধরলো ঝঙ পইড়া গেল
তাও তোমারে ভুলতে পারতাছে না।
তোমারে মনে পড়লে
ট্রাফিকের লাল,হলুদ, সবুজ বাতি কিছুই মনে থাকে না
তোমারে খুঁজতে গিয়া হাসপাতালের ওয়ার্ডে চইল্যা গেলাম
কারো বাচ্চা হইলো, কারো মা মরলো
কেউ মিষ্টি কিনলো, কেউ মর্গে ছুটলো
জগতে মিষ্টিমুখ আর শ্মশানের পার্থক্য আর রইলো কই
এসবে মৃত্যুর অধিকার দেইখ্যা
তোমারে খুব মনে পড়ে;
আমার যে মৃত্যু হইবো
তার আগে কি তোমারে দেইখ্যা যাইতে পারমু?
কান্না লুকাইতে বৃষ্টিতে ভিজে নীলকান্ত
বজ্রপাতে বিষণ্ণতার গভীরে অবিশ্রান্ত মেঘ
মেঘেদের ঝরতে দাও, দাও সুরভিত বৃষ্টি
মেঘেদের যেই কান্না ব্যাতিত পান করে না চাতক
চাতকের এই মায়া দেইখ্যা;
তোমারে খুব মনে পড়ে
আমিও যেমন ভুইল্যা থাকতে গিয়াও তোমাতেই মিলাই।
তোমারে যখন শেষবার দেখছিলাম
তখন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম
তারপর গাড়ি ভিড়লো, তুমিও বাড়ি ফিরলে
আমারে আর ফিরায়ে কে?
আমি মনে হয় তোমার গাড়ির পিছনেই দৌড়াইলাম
রাস্তার কুত্তার মত দৌড়াইলাম,
তবুও তোমারে থামাইতে পারলাম না
এখন রাস্তা, গাড়ি, কুত্তা, বাড়ি যা-ই দেখি
তোমারেই মনে পড়ে।