আমি এক মুখোশের ভেতর লুকানো কর্ডাটা
যে মুখোশ দিয়েছে আমায় তোমাদের সাথে মিশার শক্তি
এই মুখোশ আমায় করেছে তোমাদের স্বজাতি
মুখোশ সরালেই দেখবে আমি মৃত
আমি ভিনগ্রহের ক্ষত মুখওয়ালা এইচ. স্যাপিয়েন্স।
আমি সবচেয়ে সুদর্শন ছিলাম আমার মায়ের কাছে
আমি সবচেয়ে সুন্দর ছিলাম আমার প্রেমিকার চোখে
তাদের বললাম পড় আমার কবিতা
গাও আমার মেরুদন্ডের গান
তাদের চোখ ভয়ার্ত হায়নায়র মত উজ্জ্বল
কারন এই গান ছিল আমার এপিটাফ।
মুখোশের রক্তে ভিজে যাওয়া আমার চোখ
দেখি রক্তিম এক মহাবিশ্ব যার ক্ষত নিজের মুখ
আমি কি আসলেই অ-মানব বানরের সন্তান
জানতে চাইলাম আমার গুরু যে শিক্ষক
সে বললেন, আগে টাকা ঢেলে আমার পেট কর ভর্তি
এ শহর টাকার দাঁড় করা এক মূর্তি।
প্রেম অন্ধ বলে আমি সুন্দর
প্রেমিকার চোখে প্রেম থাকে তাই দেখতে আমি সুদর্শন
এই প্রেমটাও একটা মুখোশ, যা ডেকে রাখে আমার কুৎসিত চেহারা ভালোবাসার আড়ালে
সবাই মুখোশে জড়িয়ে তার নির্দয় হ্নদয় করে আড়াল
যাতে আমি বিশ্বাস করি সে বিশ্বাসী হয়ত সুন্দর।
মানুষ মূলত সুন্দর,
ভালো-খারাপ কিংবা কুৎসিত হওয়া তার কর্মের ফল।