কেমন আছে অপর্ণা?
সুজাতার চিঠি গুলো এখন কোন খামে রাখা?
কোথায় সেসব দীর্ঘনিশ্বাস এর অভিযোগ?
পৃথিবীতে নিজের সাথে বাঁচা যায় না বলে
কবর কে বেচে নিলো সুজাতা
কবরের ভেতর থেকে যে ডাক দিবে না লাশেরা
কবর তো নিজের সাথে নিজের নিঃসঙ্গতা।
কতটা নির্মম হলে পৃথিবী
মানুষ করে নিজেকে হত্যা
সেসব মানুষেরা কতটা দুর্ভাগা হলে
পৃথিবীতে বাঁচতে না পেরে কবরে গ্যালে
ঈশ্বর ঘোষণা দেয়, আত্মহত্যাকারী যাবেনা স্বর্গে।
হায় ঈশ্বর, তাদের ভাগ্য কি আসলেই তুমি লিখেছিলে?
কিভাবে নিজের হাতে এমন দুর্ভাগা মানুষ লিখলে?
তুমি কি কখনোই ভালোবাসো নি তাদের-
যাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে নরকে পাঠালে
শুধুই নিজেকে হত্যার অপরাধে।
যেভাবে নির্দয় শাসকেরা পারে
শিশুর হ্নদয়ে ফোটার পাপড়ি ছিড়ে ফেলতে
ঈশ্বর আমি তো তোমাকে চিনি দয়ার সাগর হিসেবে
তুমি কিভাবে এমন নির্দয় হলে?
নাকি আমি নিজেকে চিনতে পারিনা বলে
তোমার চেনার শুধুই বাহানা করে-
সান্তনায় বেঁচে থাকি চিরকাল।
ঈশ্বর তোমাকে চেনার শক্তি দাও হ্নদয়ে।
যেমন সুজাতার মৃত্যুর পরে অপর্ণা রোজ সাহস করে
একটা ফুল দিয়ে আসে কবরে
যে কবরের ভেতর থেকে ভেসে আসে-
শুধুই শূন্যতার ঘ্রাণ। শুধুই নিঃসঙ্গতা।
নিজেকে হত্যা করলে যদি যেতে হয় নরকে
তবে ঈশ্বর, আমার শক্তি দাও বেঁচে থাকতে
এই পৃথিবীর নরকে।
এখানে পুঁড়িয়ে আমাকে এমন শক্ত করে দাও
যেন আর কোন নরকের আগুন আমাকে
পোড়াতে না পারে।
ঈশ্বর, তোমাকে বোঝার শক্তি দাও।