খালি পেটে আর কত কবিতা লিখা যায়?
পেটে বিধ্বংসী ক্ষুধা
হ্নদয়ে অমিমাংসিত প্রণয়
কবিতা খাওয়া যায়?
গ্যালে তো নিবারণ করা যেত
রাষ্ট্রের যাবতীয় অভাব-অনটন
রাষ্ট্র খায় নাগরিকের রেশন
আর আমি—
দিন খাই সারা রাত জেগে।
পেটে বিধ্বংসী ক্ষুধা
প্রিয়তমা রাষ্ট্র—
নাগরিক খাওয়া কবে ছেড়ে দিবা?
গরিবের এত ক্ষুধা
বাজারের এর দর
মন্ত্রীসভার এত দাম্ভিকতা
কই এসব কিছুই তো তুমি খাও না
প্রিয়তমা রাষ্ট্র —
তুমি খাও অক্ষত লাশ
আর আমি—
দিন খাই সারা রাত জেগে।
প্রিয়তমা রাষ্ট্র —
তোমার গাড়ে চেপে আছে যেসব
সেতু, টানেল, উঁচু ইমারত
বৈদ্যুতিক খাম্বা, ডিজিটালাইজড বসুন্ধরা
সেসব কিছুই তো খাওয়া যায় না
কবিতাও না,
লাগাম ধরে দাঁড়িয়ে আছে যে আইনসভা
বিশ্বাস করো তার দেয়ালের
একটা ইটও খাওয়া যায় না।
তবুও মন্ত্রীসভার দেবতারা খায়
গরীবের পেটের শিশু
রাস্তার পিছ ঢালাই
রেশনের আ-ধোয়া চাল
সেতুর কনক্রিট
জীবিতদের ফুসফুস
অতপর রাষ্ট্রের পেটে যায় নাগরিক।
আমার পেটে বিধ্বংসী ক্ষুধা
প্রিয়তমা রাষ্ট্র—
তোমাকে খাওয়া যায় না
কবিতাও না
তাই আমি—
দিন খাই সারা রাত জেগে।