নদীর কিনারে বসি কালিয়া-
বাজায় বাঁশি,
মধুর সুর যায় ঢালিয়া,
দূরদেশে ভাসি।
নিপবনে সখীগণে খেলিতেছিল রাঁধা,
অঙ্গে গেরুয়া বসন, চুল ছিলোনা যে বাঁধা।
বাঁশি বড় ডাকাতিয়া মন হরনিয়া,
বুঝিয়া ভাব সখীগণেরে সে দিল ভাগাইয়া।
খুঁজিতে সুরের হেতু,না মানিয়া রাহু কেতু,
নদী তীরে ছুটিল সে পাগলপারা,
আনমনে মুদিয়া আঁখি,সুরে সুরে বাঁধিয়া রাখী
রাঁধার হৃদয় মন আপন হারা।
ওদিকে গড়াইল বেলা,বাঁশিতে পড়িল হেলা,
চাহিল কালিয়া কিনারে নদীর,
ভাঙ্গিল সহসা মেলা,এ কোন মায়ার খেলা,
চাতক দুটি আঁখি যে করিয়াছে ভিড় !
বুঝিল সহসা সে,বাঁশিতে তাহার,
মন বুঝি কিঞ্চিৎ গলিয়াছে উহার।
হাসিল মুখেতে চাহি,কহিলনা কথা,
রাঁধার হাসিতে তার বাজিল বুকে ব্যথা।
ইহাই নারী যাহারে যায় না বোঝা কভু,
সুখে দুঃখে একই ব্যথা সৃজিয়াছেন প্রভু।
সবে যবে রাঁধার প্রেমে পড়িবে কালিয়া,
অমনি আব্বা জাগাইলেন মোরে পানি ঢালিয়া।