যেতেই পারে দিয়ে দেয়া, সমস্ত ভালোলাগা প্রকাশ করে,
কবি করেন ও তাই।
তবে সে বড্ড কৌশল জানে,বৈকি।
যাকে নিয়ে ভালোবাসা কাব্য এনে দেয়,
সে হয়ত বিস্ময় নিয়ে বলে, ‘ বাহ! তুমি তো বেশ ভালো লেখো হে,’
অথচ,
সে কাব্য হয়ত কোন দূরের অচেনা মানুষকে-
নতুন প্রেমের পত্র লেখার রাতে,
শব্দ শূন্য মস্তিষ্কে যথার্থ উপমার সন্ধান দিয়ে দেয়।
কবি সত্যিই বড়, কৌশলী।

যদি কারও চোখের প্রেমে পড়েন কবি,
তবে ডেকে আনেন তার কবিতায় হয়ত কোন শ্রাবণ সন্ধ্যাকে।
উপযুক্ত শব্দ দিয়ে বর্ণনা করেন সমস্ত আকাশের আকুলতা,
যার আড়ালে রয় তার নির্লিপ্ত দুটি চোখ।  
সাজিয়ে দেন মৃদু আলোক বেলার মাঝে জীবনের উচ্ছলতা,
তাঁরই দুটি চোখে।

যদি কবির মনে দোলা দেয় কারও নূপুরের ধ্বনি,
তিনি হয়তো তারে প্রকাশ করেন বজ্রের হুঙ্কারে।
বেঁধে নেন কাব্বের ছন্দে তার হৃদয়ের ডোর,
প্রচণ্ডতার আড়ালে রয়ে যায় প্রকৃত স্নিগ্ধতা।
সে নূপুর হয়ত জানতেই পারে না তার নূপুর হবার মহত্ত্ব।

আর যারা কবি নয়,
তারা কবিতার মাঝে খোঁজে প্রেমের সমাধান,
খুঁজে চলে যথার্থ উপমা।

খুঁজে চলে নিরন্তর, একটি সহজ উপমা,
যা বলে দেয় সমস্ত না বলা কথা,
যা বোঝায়, কেবল একটি সহজ অনুভূতি।

সে উপমা, সে সহজ অনুভূতির প্রকাশ,
জীবনের সবচেয়ে বড় সঙ্কট হয়ে দাঁড়ায়।