আমার কোন অতীত নেই।
আছে কেবল এক বর্তমান।
আর, সে বর্তমানেও মাঝে মাঝে আমি হয়ে যাই বিলীন।
তোমার আমার কোন একান্ত দুর্দমনীয় মুহূর্ত নেই,
নেই একটি ও অহেতুক কালক্ষেপণের স্মৃতি।
তাই আমার কোন অলস অতীত নেই।
আমি সংশয়ে কাটিয়েছি রাত,
একা।
আমি আঁধারে আত্মগোপন করে কেঁদেছি,
একা।
আমি প্রবল বৃষ্টিতে আনমনে ভিজেছি,
তাও একা।
তাই আমার কোন আষাঢ়ে অতীত নেই।
আর সবার মত আমি দেখেছি ঘাসের বুকে জেগে ওঠা মেঠো পথ।
আর সবার মত আমি হেঁটেছি সে পথে।
কখনও কোন কাজে,
অথবা কখনও নিতান্ত উদ্দেশ্যহীন ভাবে,
আমি কোন জীবন্ত ঘাসের বুকে পদস্পর্শে সুচনা করিনি নতুন পথের।
তাই আমার কোন নতুনত্বের গৌরব মাখা অতীত নেই।
আমি শরৎ দেখেছি,দেখেছি তুল তুলে নিষ্পাপ মেঘ।
দেখেছি, ভেসে ভেসে সে মেঘেদের দিগন্ত পাড়ি দিতে।
আমি আরও দেখেছি, বসন্ত!
আড়ালে লুকিয়ে মর্ম কাঁতর কোকিলের উপস্থিতি জানান দিয়েছে বসন্তের।
তবু তার মর্ম বানী জানা হয়নি আমার কখনও।
তাই আমার কোন মর্মভেদী উপভোগ্য অতীত বসন্ত নেই।
সবাই যেমন কাছে আসে,তেমনি তুমিও কাছে এসেছিলে।
সবাই যেমন চলে যায়,তুমি ও তেমনি চলে গেলে।
বিগত জীবনের সমস্ত নীরব সত্ত্বায় কেমন অবশ করা অনুভূতির যে বাঁধন,
হৃদপিণ্ডের নিরঙ্কুশ স্পন্দনের ছন্দ ভেঙ্গে অবাধ্যতায় যে দ্রুত আস্ফালন,
সমস্ত জড়তা ভেঙ্গে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকায় নিয়ম ভঙ্গের যে দুঃসাহস,
তার বদলে উপহার দিলে কেবল,
একটি চুম্বন।
সমস্ত আমিত্বের পরাজয়ে হৃদয়ে সঞ্চিত যে একটি নাম,
সে নামের পাশে শোভিত কেবল একটি স্মৃতি,
কেবল একটি চুম্বন।
আমার নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার সে লগ্ন ছাড়া আর কোন সঞ্চয় নেই,
তাই আমার আর কোন অতীত নেই।