তুমি ছিলে কেবল আমার খেলার সাথী,
তোমায় নিয়ে খেলেছি-
কত রোদেলা দুপুর, কত তাঁরা জ্বলা রাতি।
কত গান গেয়েছ তুমি আমার সনে,
শুনেছি সে গান অবুঝ কিশোরীর মত মনে।
প্রভাত বেলায় ফুল তুলেছিলেম কত,
দু’জনে একান্ত-
চির চেনা সখীর মত।
বনে ফাগুন এসেছে, গিয়েছে আবার তা চলে,
আনমনে খেলার ছলে কত নিয়েছ এ পরাণ তুমি তুলে।
তোমার হাসি কখন বিঁধেছিল কাঁটা হয়ে পরাণে মোর,
সে প্রশ্ন জাগিয়েছিল কত রাত,এনেছিল কত ভোর।
তোমায় কত চিনি ? যত ভাবি তাই-
পরাণ বলে তত বেশি- চিনি নাই, চিনি নাই!
কখন খেলা ভেঙ্গেছে তোমার সনে মোর,
তুমি চেয়েছিলে প্রথম সেই কবে-
সে দৃষ্টিতে চির অচেনা এক ঘোর।
দু’জনের মাঝে আছে কিছু সময়ের ব্যবধান,
নেই অসম সে খেলা,আর ফুলবনের সেই গান।
সেই তো তুমি, আর সেই তো আমি,
দু’জনের চিরচেনা কুসুমভূমি-
পরাণ বলে আবার শুনি তোমার সেই গান,
দু’জনের সঙ্কোচের তবে হোক অবসান।