তোমার ছায়া পেয়ে প্রতিটি জলের ফুঁটায় চলি
সেই জন্যে দেহের এত ঢং , এত তামাশা ।
তুমি বিশ্বভুবনে যে প্রশ্নটি করে চুপ করে থাক
উওরটি যেন তোমার কাছ থেকেই পাওয়া ,
সকল বিপদ তোমার ইচ্ছার কাছে খেলা করে
যার সুত্র তুমিই ভাল জান ।
সংসার সমাজ সবই যেন ভোগ বিলাসে তোমার নিয়ম
নদীর সকল পথের চলাতে কবির জীবনের আশ্বাস ।
তোমার খোঁজে পথ চলতে চলতে আকাশের এক কোনে যায়
যেখানে এখনও মূর্খের দেখা পায়নি ,
তুমি একটি ঘটনার সকল সুত্র দিয়ে দাও
যার কাছে হিসাবের কোন পথ নাই ,
তবে নিজের বেলায় এত কৃপণতা কেন ।
রাস্তার মাঝখানে দারিয়ে নদীর পারে বসে থাকার সেই স্বপ্ন আর
চাঁদের মাঝে তার ছবি মিলানো বিরতিহিন ,
তহনত বুঝিনি সকল সুত্রের সুত্রাবলি তুমি ।
ভাগ্যকে বিশ্বাস করা শিখিয়েছ তুমি
নিজের লাভ ধরে কঠিন এবং নিষ্ঠুর হতে ,
তাই দুঃখের বাড়ি যখন চোখের ঘুম কেরে নেই
তখন এসকল অবাস্তব প্রশ্নকে থামিয়ে দেয় অতি সহজে ,
বৃষ্টি বেজা আড়ালে যেন সব মুছে দেয় ।
ধুয়ার মাঝে যেন আকাশের মেঘ ধরে
সেখানে সকল মনে বুধ হয় শীতে কাতর ,
মনে ধরা সকল রঙে যেন বৃষ্টি লাগে না
ধরে না মনে দুঃখ আর সেই অশ্লীল কথায় ,
তবে কি সকল পথের মাথা এক হয়ে গেছে ।
চিরকাল আমি প্রশ্ন রেখে যাব
তুমি মানুষ বলেও প্রাণীর মাঝে কতটুকু বেঁচে আছ ,
নাকি স্বার্থের অভাবে আশা যাওয়া কর ।
প্রশ্নের বাড়িতে যেন চোখের লাল রঙে ঘুমিয়ে গেলাম
সেই রাতেও জানা হল না ; তোমার কাছে --
আজীবন আমি প্রশ্ন রেখে যাব । ।
রফিকুল ইসলাম ( রয়েল )