একদিন হঠাৎ করেই মরে যাবো!
সতেজ কুঁড়ি থেকে জন্ম নেয়া তরতাজা যে ফুল’
মিষ্টি হাসির সুগন্ধি ছড়াতে ছড়াতে-
হাওয়ার লোভনীয় তালে দুলতে দুলতে-
অজান্তেই পলকে ঝরে যায়-!
সে ফুলের মতোই ঝরে মরে যাবো!
বিশাল জলরাশি থেকে জগে ভরা টলটলে যে পানি
গ্লাসে ঢালার প্রাক্কালে টুপ্ করে এক ফোঁটা ঝরে পড়ে-
তপ্ত মেঝেতে-
কী সুন্দর চক্ চক্ করে তখন !
ভালো করে তাকালে আশে পাশের সমস্ত পৃথিবী খানি
যেন ভর করে আছে তার ভিতরে-
সে ভাবনায় গর্বে বুক উঁচু করতে করতে-
অজান্তে উত্তাপে উবে যায় যে জল-
সে জলের ফোঁটার মতো উবে মরে যাবো !
প্রচন্ড সাইক্লোনের পূর্বাভাসে তপ্তধূলাকণায়
সোঁদাামাটির গন্ধ মাখা শীতল বাতাস গায়ে জড়ানোর মোহ
কাটতে না কাটতেই যে ভালো লাগা শিহরণ হরণ হয়ে যায়-
প্রচন্ড প্রলয়ে-
সেই শীতল বাতাসের মতো হারিয়ে মরে যাবো!
দীর্ঘ হালচাষের পর পরিপূর্ন সেচ দেওয়া জমির দিকে ঘাম মুছতে মুছতে
বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় যে কৃষকের চোখ ভবিষ্যত সুখ স্বপ্নে বিভোর’
চোখ মেলে দেখে-
তার পাতে একটি দানাকড়িও নেই।
সেই সোনালী স্বপ্নের অপমৃত্যুর মতো পলকে মরে যাবো !
মা’কে মা ডাকার তৃষ্ণা মিটতে না মিটতেই
আসমানী হরফ নাযিলের মাসে যেমন করে
এক মঙ্গলবার সকালে সবার চোখের উপরে
ক্ষণাতিথির মতো নিমিষেই মা চলে গেলেন -
মায়ের সেই হঠাৎ তিরোধানের মতোই
একদিন হঠাৎ করে মরে যাবো ।
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।