আমাকে দূর্বল ভেবে বার বার ভুল করিস না হে বোকার দল,
আমি জেগে উঠলেই হবে চুরমার তোদের যত ক্ষমতার বল।
আমার গর্জনে যদি আঘাতহানে অত্যাচারীর প্রাসাদ হয় নড়বড়ে
হয়ে ব্যাকুল জালিম হারায় কুল উড়ে যায় আমার প্রলয়ী ঝড়ে।
আমি বিন্দিু বিন্দু রক্তে গড়ি সিন্ধু ভাসিয়ে নিই যত পর্বত ইমারত,
আমাকে ক্ষ্যাপানোর ফল যে বুঝে, দেখায় না ক্ষ্যাপানোর হিম্মত।।
যুগে যুগে দেশে দেশে আমার হুংকারে কেঁপেছে তোদের মসনদ
আমিই ভাল-মন্দ সত্য মিথ্যে যাচাই করে দিই ক্ষমতার সনদ।
আমি চাইলেই পারি বসাতে তোদের,আবার চাইলেই পারি হটাতে;
তোদের যতো লম্ফ-জম্ফ- ক্ষমতার নাটাই কিন্তু আমার হাতে!
আমাকে ডিঙ্গিয়ে ক্ষমতায় থাকবি জিয়ে অতোই নয়রে শরবত,
আমাকে ক্ষ্যাপানোর ফল যে বুঝে, দেখায় না ক্ষ্যাপানোর হিম্মত।।
বিশ্বাস করে ক্ষমতা দিলে ক্ষমতার বলে করিস লাফালাফি,
ক’বছরের ক্ষমতায় গিয়ে কতো পাপ করিস, হে মহাপাপী !
খুন ডাকাতি গুম লুণ্ঠন অরাজকতায় করিস দেশের শাসন
আমাকে ভাবিস তুচ্ছ ফেলনা ! ভন্ডামীতে তোর নিত্য ভাষণ।।
তুচ্ছ আমি উচ্চ হলে হতে পারি ক্যাওকারাডং হিমালয় পর্বত,
আমাকে ক্ষ্যাপানোর ফল যে বুঝে দেখাবে না ক্ষ্যাপানোর হিম্মত।।
আমি ৫২-৭১ লড়েছি, ইয়াহিয়া জিন্নাহ ভুট্টু করেছি চূর্ণ,
আমি আমার দেশ প্রেমে মরেছি- মাতৃভূমি করেছি ধন্য।
আমি কেমন লড়াকু আর কত রক্ত নদী দিতে পারি পাড়ি,
আমি মুহূর্তে গলে আবার মুহূর্তে জমে যাই দেখে শত শব সারি।
আমাকে ক্ষ্যাপানোর তাই কোন উপায় নাই, করিস না কোন কসরত;
আমাকে ক্ষ্যাপানোর ফল যে বুঝে, দেখায় না ক্ষ্যাপানোর হিম্মত।।
আমি প্রয়োজনে আবার লড়বো দেশ মাতৃকার ক্রান্তিকালে,
আবার না হয় ভাসবে আমার লাশ সাগর নদী আর খালে।
তবুও আমি রক্তের ধারে বাতিলের মসনদ করবো চূর্ণ,
আমি আমার খুন ও জীবন দিয়ে যাবো মাতৃভূমির জন্য।
কিছুতেই আমাকে দমাতে পারবি না বোকারা যতই করিস মহরত,
আমাকে ক্ষ্যাপানোর ফল যে বুঝে, দেখায় না ক্ষ্যাপানোর হিম্মত।।
আমি একে একে মরি লাখে লাখে মরি তবুও নই ভীত!
আমি আমাকে হারাই, স্বজন হারাই তবুও থাকি প্রীত।
আমি আমাকে বিলিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে থাকতে চাই সদা পুত্,
এই দেশ আমার আমি যে তার- এই দেশ আমার মায়ের মতো।
দেশপ্রেম আমার ঈমানি তেজ আমি মুহাম্মদ (সঃ) এর উম্মত।
আমাকে ক্ষ্যাপানোর ফল যে বুঝে, দেখায় না ক্ষ্যাপানোর হিম্মত।।
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম