(জৈবিকতা-১২)
সুন্দর দেওয়ালে আচ্ছাদিত তোমার পরিপুষ্ট বাড়ি দেখেই বুঝেছি...
বাড়িটি বাহিরে যতোটা সৌন্দর্যে প্রকাশিত ততোধিক সুন্দর হবে তার উঠোন ও বাগান, পুকুর ও ঘাট আর ভিতরগত প্রাকৃতিক পরিবেশ!
ভাবতে ভাবতেই স্বচক্ষে অবলোকনের দূরন্ত উদ্দীপনা আমাকে তাড়া করে রোজ...তাই
তোমার সান বাঁধানো পুকুরে রাত দুপুরে...
স্নান করার স্বপ্নে বিভোর হই মনে মনে...
আর তাই বলতে ইচ্ছে করে
আকাংখার আবদারে...
একবার তোমার সান বাঁধানো পুকুরে স্নান করার খুব শখ আমার....
কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে ও
বাড়ি বা পুকুর কোনটাই চুক্ষুতে পেলাম না মন্দ কপালের দায়...
একদিন যদি টিকে প্রাণায়ু ঠিকই যাবো বাড়ি...বাড়ির উঠোনে কুত্কুত্ খেলবো দুহাতের তালুতে আঙ্গুলে...তারপর আবেশে মোহিত হয়ে অজান্তে চলে যাবো ঠিক পুকুর পাড়ে যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দূর্বাঘাসে আচ্ছাদৃত পাড়ের চৌদিক..আমি তাহাদের আলতো ভরে আদর করে সান বাঁধানো ঘাটের সিড়িঁ বেয়ে ধীরে ধীরে পুকুরে নামার প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকবো নিমগ্ন চিত্তে...টইটুম্বর পুকুরের ফুটন্ত জলের উম্মাদনা দেখে আমি ভালো লাগার আবেশে চরম আবিষ্ট হবো নির্ঘাত জানি...একটু একটু উষ্ণ জলের ছোঁয়ায় আমি জলের পানে তীব্র আর্কষনে ধাবিত হবো...কোন এক ক্ষনকালের বিরতিতে আমি বৈঠা সাথে ঘাট থেকে জলে তরী ভাসিয়ে দিবো- ঠিক!...আমার তরী ছুটে চলবে দূরন্ত অশ্বের ন্যায় ...বৈঠার আঘাতে জলে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ উঠবে মুহুর্মু....তাতে হয়ত কিচ্ছু বাড়ন্ত জল টইটুম্বর পুকুরের পাড় আছঁড়ে উপচে পড়বে...অতিরিক্ত জল গড়িয়ে পড়াতে পুকুরে ও তরীতে সমতা বিরাজ করলেই আমি তরী নিয়ে তীরে এসে বৈঠা সাথে পুকুর থেকে উঠে আসবো ...কথা দিলাম
এরচেয়ে তো বেশিক্ষন নয়..
আবদারের পরিধিও এই সামান্যই
তবে ব্যপ্তিতে জানি সুবিশাল ...
স্বপ্নের এই বাস্তবায়নের বাড়িয়ালার অনুমতিও চাই
একান্ত সম্মতিতে...সর্বাগ্রে !