অতোটা নিখুঁত হতে পারিনি যতোটা চেয়েছিলে
কেননা আমার হাত আজ শ্রমিকের হাতের মতো দৃপ্ত
আমার চুলের বিন্যাস রোদে পোড়া ক্রীতদাসের মতো
আমার পা ক্ষেত মজুরের পায়ের মতো ফেটে রক্ত জমাট চৌচির
আমার ত্বকে ইটভাটার গনগনে আগুনের হল্কা নির্গত
আমার কন্ঠস্বরে নিপীড়িতের কন্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত
আমার হাসিতে অসুরের অট্টহাসি অনুরণিত
আমার আত্মায় অকালে ঝরে যাওয়া আত্মার বাস
আমার রক্তে বিদ্রোহের ঝংকার চমকিত
আমার আবেগে কালনাগিনীর বিষ প্রবাহিত
আমার ক্রোধে আগ্নেয়গিরির লাভা ধ্বংসবিলাসে উন্মুখ
আমার দৃষ্টিতে উদ্ধত সৈনিকের স্নাইপার হাতে সুতীক্ষ্ণ নিশানা
আমার চোখের চাহনিতে নির্মম তরবারির ঝিলিক জাজ্বল্যমান
আমার নিঃশ্বাসে সর্বগ্রাসী টর্নেডোর হুংকার প্রতিবিম্বিত
আমার হৃৎপিন্ডে বিষাক্ত হাইড্রোজেনের সরব উপস্থিতি
আমার মস্তিষ্কে দানবের মস্তিষ্ক প্রবল উৎসাহে প্রতিস্থাপিত
আমার চেতনায় ধ্বংসবীজের বিধ্বংসী স্লোগান
আমার কামনায় রক্তাক্ত মরণ কাতরতা
আমার অস্থিমজ্জায় ক্রোধের গলিত ইস্পাত ঝলকিত।

অতএব নিখুঁত মানুষ হওয়ার কিংবা নিখুঁত মানুষের মতো
বেঁচে থাকার যোগ্যতা আমার মাঝে আর অবশিষ্ট নেই।