আক্ষরিক অর্থে তুমি শব্দটি
খুবই সাদামাটা, সরল, ভাবলেশহীন
মধ্যম পুরুষের সম্ভ্রমসূচক সর্বনাম
উচ্চারণেও আহামরি কোন আড়ষ্টতা বা জড়তা নেই।
বিশুদ্ধ একটি সহজ উচ্চারিত শব্দ
সহজেই যে কেউ উচ্চারণ করতে পারে
কিন্তু আমার কাছে তুমি শব্দটির গভীরতা অনেক
অনেক বেশি ভারি, অনেক বেশি মোহময়।
শব্দটি উচ্চারণে প্রবল ঝাঁকুনিতে সরব হয় নিথর শরীর
শরীরের প্রতিটি কোষ জটিল রসায়নে উদ্বেলিত হয়
আবেগের অতৃপ্ত দহনে
নিঃশ্বাস ভারী সুপ্ত বাসনায়।
তুমি শব্দটি উচ্চারণে বারবার থমকে যেয়ে
কেঁপে ওঠে হৃৎপিন্ড
রক্ত প্রবাহের অস্বাভাবিক আচরণে
জেগে উঠে প্রাণের নতুন অস্তিত্ব।
উত্তাল সাগরের ঢেউ ক্রমাগত শান্ত হয়ে
ধারণ করে নীলবর্ণ কিংবা
সর্বগ্রাসী ঝড়ের পর আকাশে উদিত
সাতরঙা রংধনু।
তুমি শব্দটি কাপুরুষকে যোদ্ধা বানায়
শাণিত তলোয়ার আঘাত হানে
দ্বিখন্ডিত করে শত্রুর শরীর
রক্তের লাল রঙে উদিত হয় নতুন সূর্য
সুনামি কিংবা সর্বগ্রাসী টর্নেডোর মতো
অথবা প্রবল ভূমিকম্পের সর্বনাশী আঘাতে
ধ্বংস হয় সুগঠিত সভ্যতা
বাতাস ভারি হয় তীব্র আর্তনাদে।
সুতরাং তুমি শব্দটিকে এতো সহজে
উচ্চারণ করা গেলেও
শব্দটির যথার্থ অর্থ উদঘাটন করা
প্রকৃত প্রেমিকের পক্ষে দুঃসাধ্য।