কি হয়েছে তোমার
নিজেকে এতো গুটিয়ে নিচ্ছো কেন সংগোপনে?
অযাচিত ভ্রান্তিবিলাসের হিমশীতল মৌনতা তোমাকে
তিলেতিলে দংশন করে মোহাচ্ছন্ন এক ব্যাধিতে ঘিরে ফেলেছে ধীরলয়ে।
সুবিন্যাস্ত ঘোরের মাঝে কামনার তপ্ত স্পর্শ কালো মেঘের আড়ালে
লুকিয়ে থাকা বজ্রের মতো আকস্মিক থাবায়
তোমাকে ভেঙেচুরে চুরমার করে খুবলে নিবে
বিষাক্ত সায়ানাইড নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিবে এক ঝটকায়।
রাজগোখরার বিষদাঁত সদাপ্রস্তুত মরণ দংশনে
হায়েনার নিঃসরিত লালা তোমার মাংসের স্বাদ নিতে চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে
কিছু কালো মুখোশে ঢাকা বেজন্মা তোমার অস্তিত্ব ধ্বংসে সদা জাগ্রত।
তুমি একা, নিতান্তই একা, তোমার বসবাস নিঃসঙ্গতায়
প্রাণহীন বাস্তবতার আড়ালে কেবলই তৈরী হচ্ছে
নতুন নতুন প্রাণহীন বাস্তবতার তীব্র সংঘাত।
কালের স্রোতে ভেঙে যাওয়া অণু পরমাণুর ক্ষু্দ্রাতিক্ষুদ্র কণার মৃত্যুহীন বিভাজন
তোমার অস্তিত্বকে মহাবিশ্বে ছড়িযে দিবে পরম অনাগ্রহে।
তুমি তোমার অস্তিত্ব হারাবে
তুমি তোমার গন্তব্য হারাবে
তুমি তোমার অনাগত ভবিষ্যত হারাবে
তুমি তোমার স্পর্শের অনুভূতি হারাবে।
নিবরতা ভেঙে তুমি জাগ্রত হও
শরীরের মাঝে যে ঘুমন্ত উত্তাপ তোমাকে উদ্বেলিত করে
তাকে আগলে রাখো একান্ত শৈল্পিকতায়।
তুমি ফিরে এসো প্রাণবন্ত বিশুদ্ধ পৃথিবীতে
তুমি ফিরে এসো নবপ্রাণের বিশুদ্ধ সংগমে
তুমি ফিরে এসো মুক্তপ্রাণের নিঃস্বার্থ গতিময়তায়
তুমি ফিরে এসো বিস্ময়কর পৃথিবীর আলোকিত পথে।
নয়তো নিঃশেষ হতে হতে তুমি গতানুগতিক কফিনে পাড়ি জমাবে
দূরের কোনো অদেখা ভূবনে।
তোমার অস্তিত্বের শেষ নিশানাটুকু ভেসে যাবে
সময়ের নিষ্ঠুর ভেলায়।