সারা দুনিয়া আজ দুই ভাগ জালেম শোষক ঘাতক
আর মজলুম আর্তনাদকারী
ঘাতকের বুলেটের শব্দ হাঁ করে দেখে সারা বিশ্ব,
ঘাতকেরা জন্ম দেয় ঘাতক!
ফুলের দোকানে ঘাতক, পাঠশালায় ঘাতক,
৩২ নম্বরে ঘাতক, কারাগারে ঘাতক,
সেজদারত মানুষের পিছনে ঘাতক।
আমাদের যে প্লাটফরম ছিল সেখানে আরো কিছু
নিপীড়িত- ফিলিস্তিনি, রোহিংগা, উইঘুর, সিরিয়া এসে জুটে নিয়মিত।
অভিবাসনের কথা বলতে চাইলে আমাদের শরনার্থী জীবনের
সেই সব কথাও এখন মনে পড়ে যায়,
আমরা মানবিক হই, মানানসই হাতে লিখে দেই
আমাদের সামর্থের সবটুকু ।
বুকটাকে আমরা রেখে দিয়েছি ঘাতকের তরে
আরো কত বুলেট আছে তোমাদের ভান্ডারে !
আমাদের বিশ্বাসের ভান্ডারে মানবতা;
ফিরে এসো, উষ্ণ মেহমানদারি রয়ে গেছে
সারি সারি বৃক্ষের মত-
যদি বদলে দিতে চাও বিশ্বটারে ।
প্রতিটি স্বর্গ উদ্যানের বাতি আমাদের কাছে খবর পৌছে দেয়
ভালো নেই ফিলিস্তিন, উইঘুর, চেচনিয়া, বসনিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ।
যেদিন জলপাই রঙের গাড়ি নেমেছিল এই মাটিতে
সেদিন হতে উর্দিপরিহিত উপস্থিতি দেখলেই
আবুগারিবের জেলখানার খবর শুনতে পেলেই
বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে ।
আমরা সেই হতে স্বাধীনচেতা হয়েছি ,
বিশ্বের ইতিহাসে লিখেছি নাম।
আমাদের ভাষা, আমাদের অধিকার, আমাদের বলিষ্ঠ কন্ঠ
জালেমের বিরুদ্ধে গর্জে উঠা মুক্তিকামী জনতা ।
আমাদের এক নেতা ছিল এই ভূখন্ডে
সারা দুনিয়া আজো কম্পিত হয় তেজোদ্দীপ্ত ভাষণ শুনে।
আমরা ধারণ করি সেই মজলুমের পক্ষের সেনানীরে
স্মরণ করছি তাকে
আজ তার জন্মদিনে ।