সৃষ্টিকূলের প্রথম রূহ তুমি ছিলে আসমানে প্রকাশিত।
রূপের ঝলকানিতে বিমুগ্ধ জিব্রিল আয্রাইল মিকাইল
বিস্ময়ের ঘোরে অবচেতন,
তুমি দেখেছিলে রুহের জগতে উপহার দেয়া হয়েছিল
বেছে বেছে উৎকৃষ্ট রূহের তোমার উম্মত
তোমাকে মোবারকবাদ ।
আব্দুল্লাহের ললাটের রূপের ছটায় মুগ্ধ রমণীকূল,
তুমি যেদিন এসেছিলে আমিনা মায়ের গর্ভে
পতন দেখে ব্যর্থ চাহনি ফিরে গিয়েছিল
এতো এক সাধারণ পুরুষ আরবী।
মা আমিনাকে মোবারকবাদ।
মায়ের উদরে সুশীতল স্নেহের পরশ ছিলে তুমি
না কোন কষ্ট না কোন ক্লেদের ছোয়া
রহমতের বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
আশা জাগানিয়া বেঁচে থাকার অবলম্বন।
তোমার প্রতি বাড়ুক আরো রহমত ।
বংশপরম্পরায় অনন্য তুমি
বিবাহিত যুগলের সন্তান,
আদম হাওয়া ইব্রাহিম হাজেরা
আরো কত পবিত্র নাম।
তোমারই কারণে এই মিল্লাত
বাবা ইব্রাহিম টিকে রয়।
ধন্য সবাই ধন্য তোমার নামের জন্য।
শ্রেষ্ঠ বংশের শ্রেষ্ঠ সন্তান কাবা ঘরের জিম্মাদার,
স্বপ্নযোগে জানিয়ে দেয়া-
এক মহামানবের আগমন হবে তার নাম হবে মুহাম্মদ।
কত আনন্দ মায়ের, নেই কষ্ট
উদ্ভাসিত চোখের সামনে শামের রাজপ্রসাদ।
তুমি এলে, মাশরিক হতে মাগরিব আলোকিত করে।
ঝলমলে খানায়ে কাবা, তারকারাজি মাটির কাছাকাছি,
পারস্যে খসরুর রাজপ্রাসাদ কেঁপে উঠে ভেঙে খানখান চোদ্দ গম্বুজ,
শুকিয়ে গেল শামের তাবরিরা পারস্যের ছাওয়া হ্রদের পানি,
কাবার মূর্তিগুলি রইল পড়ে উপুড় হয়ে।
আহলান সাহলান হে রাহবার, কত উচ্চ তোমার শান।
সমস্ত সৃষ্টির মাঝে তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ,
কেউ দেখে নাই আর তোমার মত চেহারা উৎকৃষ্ট ।
আম্মাজান রাঃ বলেছিল -ইউসুফ আঃ কে দেখে
আঙুল কেটেছিল মিশরের মেয়েরা ,
আর তোমাকে দেখতে দেখতে চিরে ফেলত কলিজা।
মাঝারি গড়নের দেহে মাংসল হাত পা,
বিশাল কাধে দায়িত্ব বড় আরো!
কি হবে উম্মতের, কে নিবে জিম্মাদারী ?
সমান পথেও নেমে যেতে যেন পাহাড় হতে
তোমার সে চেহারা দেখে ব্যাকুল ধরণী,
তুমি কামলিওয়ালা সবার হৃদয়ের মনি।
তোমার থেকে জগতবাসি পেল হেদায়েতের আলো
দুনিয়াতে বিদ্যমান যত অন্ধকার কেটে গেল।
মানব দানব হৃদয় তোমার প্রেমে উজালা
তোমার নামে পড়ে সাল্লি আলা।