ইচ্ছে করে বলে থেমে গেলেন তিনি
তার অনুচ্চারিত শব্দগুলোকে সাজিয়ে নেবার দুঃসাহস দেখাতে যাইনি
দ্রোহের কাছে দাঁড়ানোর সক্ষমতা না থাকায় ছেড়ে দিয়েছি ডায়াস তাকেই
তিনি যতখুশি বায়বীয় ময়দানে শূন্য দৃষ্টিতে ইজেলের রঙে ছুঁড়তে থাকুন
শত বেদনার কথা কাব্য করে লিখতে থাকুন
আমরা দূর হতে দেখতে থাকি প্রেমিক হয়ে উঠা ষাটের যুবক কবি
কবিতার মাঝে আজো প্রেয়সীর ছবি আবার
যেমন দেখি ভেসে যায় সংস্কার বাঘের পাশে বসে বাহাদুরি
উদোম বালুতটে, শুরা পানের গল্পে জাতে উঠার প্রতিচ্ছবি
আমরা সে বাঘটাকে পোষা বিড়াল বলতে যাই না
নষ্ট উপাখ্যান বলতে যাই না-চলুক তার পথে
তার ইচ্ছাটাকে কবিতার কাছে ছেড়ে দিয়ে মুক্ত হয়ে যাই
কিছু অবতারণা আকস্মাত যুগল জীবন, সাধুপুরুষ অথবা বৃদ্ধ ব্যভিচারী
কিছু অস্পষ্টতা- আড়াল আড়াল খেলায় নিজেকে দূরে ঠেলে দেয়া
কিছু নিবেদন দিনশেষে নিজেকে ফিরে পাওয়া অবধি
পায়ের ছাপ পথের রেখা আর গন্তব্য
তার দ্রোহ যদি মিলিয়ে নিতে যাই
অস্ত্র হাতে শপথ নিয়েছিল শামসুদ্দিন মাষ্টার ওরফে সাগর কমান্ডার
মোল্লা বাড়ির রইছ আর কালু সর্দার
মুক্তিপাগল জনতার চোখের ভিতরে কবির চোখ
নয়তো উদ্ধার হবার আশায় আশ্রিত ছাদের উপরে নয়তো সানশেড, কার্ণিশে
পৌছে যাচ্ছে বীরেরা, ফায়ার ফাইটার, দূর্যোগ রেস্কিউ টিম, কবির অন্তর
বুঝি না তার ইচ্ছার মাঝে দীর্ঘশ্বাস পৌছে যায় কোন সীমায়
কৃষকের উঠানে ধান শুকানোতে ব্যস্ত নুপুর পরা পা
মাঠের মাঝে ঘুরে বেড়ানো ছাগল ছানার নৃত্য
ছিপ হাতে বসে থাকা শখের পুরুষ
আল মাহমুদ কিম্বা শহীদ কাদরিকে না চেনা কবি
তারচেয়ে বরং আরেকদিন শুনে নেয়া যাবে কবি হবার ধারণায়
তিনি আদৌ কোন ইচ্ছা পোষণ করেন কি না
নাকি স্তব্ধ হয়ে গেছেন বাকিটুকু বলতে?