গাজাবাসীর আকাশটা দেখে কি মনে হয় এর নিচে ডিটেনশন ক্যাম্প?
ইসরাইলের দাক্ষিণ্যে বেঁচে থাকার কাছে যদি বিলিয়ে দিতে হয় বেঁচে থাকার সবকিছু!
আকাশটা প্রভুর দিকে খোলা থাকে আর সে সুবিধা নিয়ে শকুনের চোখ দেখতে থাকে,
তবে কি আর, আর কোন পথ খোলা মাটির নিচে যাওয়া ব্যতীত?
যে গল্পটা শুরু করেছি- সেখানে এমন কোন অপরাধ নেই অপ্রতুল,
প্রতিদিনই নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়ে প্রমাণ করতে হয় আমরা আর ক'জন আছি।
কোন ছাড় দিতে রাজি নই, সুলায়মান অথবা ঈসা অথবা মুসা আলাইহিওয়া সাল্লাম
যেমন একত্ববাদের ব্যাপারে ছাড় দেয় নাই কোন।
আর আমাদের ইতিহাস গৌরবের। জালিমের হাত হতে বহুবার ফিরে পেয়েছি
বরকতময় পুণ্যভূমি, পূর্ণ্যাত্মাগুলিকে সম্মান দিয়েছি আমরা ।
এখনো হকের লাগাম হাতে একত্ববাদের অংশে কোন আপস ছাড়া আমরা।
আমাদের ইব্রাহিম, ইসহাক, ইসমাইল, মুসা, ইসা নবী আলাইহিসসালাম
আমাদের জেরুজালেম
আমাদের আকসা ।
আসমানের দরজা খোলা থাকে বলেই আমরা জীবনের বিনিময় হলেও নিস্প্রভ নই
আমাদের শাহাদত আঙ্গুল উঁচু থাকে সর্বদা ।
তোমরা রোম পারস্যের ভিতরে আঁটকে থাকা পরাজিত ভাবের শাসকেরা
পরস্পর বিভেদের গল্প শুনালেও আমাদের কাছে আপন আল্লাহর শানে মাথা উঁচু করে
আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে প্রকম্পিত করা সেই প্রচেষ্টাগুলো
গুনে গুনে তসবিহ দানার মত ছাড়তে থাকা ট্রিগারের চাপ !
গাজাবাসীর আকাশটা ডিটেনশন ক্যাম্পেরই আকাশ থাকবে সেদিন।
মাথার উপরে থাকা সূর্য,
আমাদের মায়েরা বীর সন্তান প্রসবের গৌরব নিয়ে আরশের ছায়াতলে সেদিন স্নেহ বিলিয়ে দেবে
আজ যেমন দেখতে পারে নাই সন্তানের জীবিত মুখ সেই সবরের বিনিময়ে।
তোমরা সেদিন মনে করে দেখবে কোথায় কি করছিলে!