রমণীয় রঙীন দলে সমুজ্জ্বল
বিহঙ্গ-প্রজাপতি-মধুকরকুলের আজন্ম প্রণয়ী
অতীব ক্ষণজন্মা এক দুর্ভাগা পুষ্পরাণী
হেন মায়ার বৃন্ত ছিন্ন করে অকস্মাৎ
মিশে গেছে অচিন এক ধুলির ধরায়।
অসীমের যুগান্তর পেরিয়ে এসে সে আজ ভাবে
আহা! কত কোকিলই না একদা ভরা বসন্তে
মাতিয়ে রাখতো আমার চপল আঙিনার চারিধার!
অনন্ত নব নব পুষ্পরাশির ফল্গুধারায় মিশে
আজ তাদের কারোরই নেই এতটুকু ফুরসত
মম স্মৃতি স্মরিয়া পলে অনুপলে
শোকে হবে অনুসম হত-বিহবল।
আঁখিপানে ঝরাবে নিতান্তই এক ফোঁটা
হ্যাঁ, শুধুই এক ফোঁটা নোনাজলের ক্ষণিক ধারা।
ছিন্ন-মুকুলের এ মৌন পরিতাপ
অনুরণিত হয় নিসর্গের ইথারে-পাথারে।
নব কুসুমকলির লাবণ্য-বন্দনায় নিরত ভ্রমরকুলের
কর্ণকুহরে শ্রবনোত্তর এ শব্দতরঙ্গ
অনুরণেনা কিয়ৎ ব্যাকুলতা।
দিকবিদিকে বিকশে না বিন্দুমাত্র সাড়া।
চারিদিকে বহে শ্মশানের নিবিড় নীরবতা।
ছিন্নমুকুল আশাহত হতে হতে একদা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
অজ্ঞানে লুটিয়ে পড়ে পুনঃ ধরার মায়ায়।
এমন বিধুর ক্ষণে তার নাম ধরে কে যেন ডাকে!
ধরার অনন্ত নির্জনতা বিলয়ে সে কোন অখ্যাত এক কবি!
কহে, ওগো নার্গিস তুমি লহো
আমাসম ক্ষুদ্র কবির এক পশলা অধীর আকুলতা,
পাথারসম লোনাজলের তুচ্ছ তিগ্ম পরশ।
হায়! আর কিছু নেই যে দেবার।।
(সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
০২/১০/২০২০ খ্রি. বিকাল ৪.৩৪টা)