হে প্রভু! দয়াময়।
কত সুখসম্ভার তুমি করিয়াছ দান!
তবু কেন জাগে না এ হৃদে
সদা তব স্তবগান?
কত রূপে-রসে ছন্দে-গন্ধে
ধরণী তুমি সৃজিলা!
তব অসীম দয়ার সুফলে
হয়েছে ঊষর ধরা সুফলা।
হে রহিম, রহমান!
হে সর্ব ক্ষমতাবান!
বানাও মোরে শোকর-গোজার
দানি তব দয়ার শান।
তব কৃপা ভুলি, ভব মায়ায় মজি’
হায়! তোমাকেই রয়েছি পাশরি’!
তুমি যেন প্রভু ভুলো না মোরে
বাজিয়ো তব প্রেম-বাঁশরি।
এ ভব মরীচিকা মাঝে
তব করুণা ছাড়া,
বিনাশী হবো আমি
হলে তব নিয়ামত হারা!
তব রহমত শারাবে সদা
অবগাহন করিও আমায়,
মম এ পঙ্কিল রাহাপ্রান্তে
আজ স্মরি গো তোমায়।
আজি হতে করিব আমি
শুধু তোমারি মহবত,
দোজাহানে বর্ষিও আমায়
তোমারি রহমত।।
(আনুমানিক ১৯৯৩ সাল)