এবার যদি ফিরে যাই নিজ দেশে
সর্বাগ্রে যাবো মায়ের কাছে
অপলক রইবো চেয়ে তাঁর পবিত্র মুখে
ঘুরবো তাহার আঁচলেরই পাছে।
যদি দেশে যাবার তৌফিক হয় এবার
ভাই বন্ধুর বেশি খবর নেবো
কংক্রিটনগরে থাকবো না আর পড়ে
গ্রামকেই আমি বেশি সময় দেবো।
আর হ্যাঁ, সকাল সকাল উঠবো বিছ্না হতে
মাখবো গায়ে রবির কচি রোদ
শিশিরবিন্দু মাখবো খালি পায়ে
ঘুমের মাঝে রইবো না আর বুঁদ।
এবার দেশে ফিরে গেলে
সহসাই যাবো কাঠালিয়ার তীরে
গা ধুঁবো আর সাঁতার কাটবো মন যতক্ষণ চায়
কৈশোরকে খুঁজবো হেথা এপাড় ওপাড় ঘিরে।
আমি এবার দেশে ফিরে গেলে
ভুল হবে না তুলতে গিমি শাক
কলাই শাকও বাদ যাবে না জেনো
আরো নিবো ঘাগরা গুল্মের শাখ।
কতদিন তাজা মাছ ও চুকুরের টক দিয়ে
খাওয়া হয় না হেমন্তের নব ভাত
এবার দেশে যাবার পর
সত্যি বলছি, এ সব দিয়ে ভরবো আমার পাত।
স্বদেশে যাবার ভাগ্য যদি হয় আবার
ঢাকার রাস্তার জ্যামে মজা নেবো
লবন দেয়া আমড়া শশা কিনে
আস্ত আস্ত মুখে পুরে দেবো।
কার্জনহলের সামনে দোয়েল মোড়ে
কাঁচাকলার ভর্তা কিনে খাবো
টং দোকানের চাও রয় না বাদ
আমায় নিয়ে যা খুশি তাই ভাবো!
দেশে যদি যেতে পারি এবার
কত কথা বলবো মায়ের ভাষায়
দেখব ঘুরে একুশে বইমেলা
শহীদ মিনার ঘুরবো খালি পায়।
আবার স্বভূমে ফিরতে পারি যদি
দেশাত্মবোধক গানের জাদুর সুরে
মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানীর সৌধ
মুগ্ধ হয়ে দেখবো ঘুরে ঘুরে।।
(১৯/০৯/২০২২, রাত ১০।২৭টা
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া)