আজকে যিনি পড়ে আছে, নীরব নিথর লাশ হয়ে।
সেও তো ছিলো সরব ধরায়, এই দুনিয়ার সুখ পেয়ে।

এইতো সেদিন প্রাণোচ্ছলে, হাসি-খুশি; উল্লাসে।
চলছিলো সে আপন মনে, ধরার বুকে বীর বেশে।

বলছিলো সে কত্ত কথা, বক্তৃতার এই মাঠ পেয়ে।
শত কথার ফুল ঝুরিতে, থাকতো মেতে সুখ চেয়ে!

করছিলো সে সুখের নেশায়, কত্ত রকম কাজ সকল!
সেই আশাতে- 'না হয় যাতে, জীবন-স্বপ্ন সব বিফল।'

খাচ্ছিলো সে- 'খাওয়ার তরে, ছিলো ফন্দি আর ফিকির!'
হয়ত ভুলে নাওয়া-খাওয়া, করছিলো পাওয়ার জিকির!

তাকে নিয়েও তার স্বজনের, স্বপ্ন ছিলো  কম-বেশি।
লাশটা হয়ে পরে আছে, সেসব এখন সব বাসি!

আদর দিয়ে তার মা তাকেও, করেছিলো যে লালন।
কত যত্নে করেছিলো, পেটের মধ্যে তার ধারণ।

সব মায়েরাই করে,
সোনা মণির সমাপ্তি তে, ডুকরে কেঁদে মরে!

পরান পাখি উড়ে যাওয়ায়, পড়ে আছে আজ 'মনা'।
সেই আদরের জাদুমণি, এখন যে আবর্জনা!

দাফন কার্যে তাড়া,
হতেই হচ্ছে আমাদের কে, কেমন মায়া-হারা!

সবার তরে কাজটা হলো, দ্রুত রেখে আসা।
কবর দেশই এখন যে তার, থাকার আসল বাসা!

ধরার যতন শেষ,
এমনি করে আমিও যে, হবো নিরুদ্দেশ!

কেঁদো না কেউ আমার তরে, আপন যারা আছো।
জীবন দাতা যত বাঁচায়, তত দিনই বাঁচো।

পথ একই সবার,
আমার তরে; তাহার তরে, কাঁদার কী দরকার!
®
১৯/৭/২০১৮;
দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।