পর্দাটা তো শেষ করেছে ইঁদুর মশাই কেটে!
সেই দু'খে আজ বুকটা আমার যাচ্ছে যেনো ফেটে!
দূরাবস্থা দেখে খুবই দুঃখ হচ্ছে মনে।
এমন দু'খে হইছো দু'খী বলো তো কয় জনে?
একই রং এর পর্দাকাপড় আর যদি না পাই!
অন্যগুলোর সাথে কেমনে মিলবে চিন্তা তাই।

ভেবে নিলাম এত চিন্তা চলে না জীবনে।
সময় করে দেখবো ঘুরে কাপড়ের দোকানে।
ক্ষতির চিন্তা ছেড়ে দিয়ে ভাবছি নতুন করে।
কী কৌশলে যায় ধরা ওই বেয়াদব ইঁদুরটারে।

বাজার থেকে কিনে আনলাম ইঁদুর ধরার ফাঁদ।
পড়লে ফাঁদে ভাঙবো প্রথম ওই ইঁদুরটার দাঁত।
ইঁদুর ধরতে রাত শুরুতে ফাঁদটা দিয়ে এঁটে।
ছুড়ি শুটকি পোড়া দিয়ে, দিলাম তাতে সেঁটে।
শুটকি পোড়া গন্ধ পেয়ে ইঁদুর এলো ছুটে।
খাইতে গিয়ে পড়লো ফাঁদে শুটকি নিয়ে ঠোঁটে।

আনন্দে তো মনটা আমার যাচ্ছে শুধু নেচে!
পর্দা কাটার শোধটা নেবো এবার একটু যেচে!
দাঁতগুলো সব একটা করে তুলে নেবো তোর।
দেখবো ভেঙ্গে ওই দাঁতে তোর সত্যিই কেমন জোড়!
কোনো ভাবে রাতখানি যাক হউক সকাল ভোর!
দেখবি তখন মারতে তোকে হই কত খাচ্চর!

রাগ মেটাতে সেই প্রভাতে ফাঁদটা নিয়ে হাতে।
নেড়ে চেড়ে দেখছি ইঁদুর রাগ-বিরাগের সাথে।
শুরু হলো ইঁদুর নিয়ে সবার ফটোসেশন।
রাগটা ফেলে সুখটা নিলো বাসার সব লোকজন।

যে দুঃখটা সুখ দিয়ে যায় সে দু'খ রয় না দু'খ।
সবার সুখে রাগটা রুখে নিলাম কিছু সুখ।
তারপরও তো ইঁদুরটাকে যায় না দেয়া ছেড়ে!
যতই করি সুখানন্দ সবাই মায়ার ঘোরে।

ভেবে নিলাম সহজ মৃত্যুই দেয়া হবে তাকে!
নিঃশ্বাসটা করতে বন্ধ ডুবিয়ে দেবো লেকে!
অবশেষে সবার মতে এটাই হলো 'ফিক্সড'।
মরলো ইঁদুর মিটলো বিধুর মুহুর্তে 'এনডিড'।
®
[স্বরবৃত্তঃ ৪+৪+৪+১/২]
০৪/০২/২০১৮
দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।