মায়া,
জানো সব উল্টে পাল্টে যাচ্ছে,
যেন কুয়াশায় নিরুদ্দেশের আবছা স্পর্শ,
চোখের সাথে মনের বনিবনা হচ্ছে না বেশ কয়েকদিন,
উৎফুল্ল মন ভীষণ আনমনা হয়ে গেলো।
যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি,
সেখানে হাটছি আবার থামছি,
পাইন গাছের ঘ্রাণ বেশ অযাচিত লাগছে,
প্রজাপতির ডানার রঙগুলো
সাদাকালোর বাহিরে তেমন কিছুই নয়,
যে সবুজ পাতাগুলো স্বপ্নের গাঁথুনিতে বেশ উৎসাহ জাগিয়েছিল,
তারা পড়ে আছে শুকনো পাতার বেশে
পরিষ্কার পথের ধারে,
হয়তো ক্ষণকাল তারা আমারই মতো অভিযাত্রী।
মায়া,
বুঝতে পারছি আমার বয়স বাড়ছে,
তুমি কি তরুণী আছো সেই প্রশ্নে যেতেই ভয় লাগে,
আমাকে চির মুক্তি দিয়েছো তোমার অভিমান, ক্রোধ, আক্রোশ থেকে
এই এক ঘেয়েমি লেখায় তুমি বিরক্ত হও তা আমি বেশ করে জানি,
মাঝে মাঝে ভায়োলিনের সুরে নিজের লেখাগুলো তোমার কণ্ঠে কল্পনায় শুনি,
আর ভাবি ভালোবাসা থেকে মুক্তি দিতে পারোনি আমায়।
চোখ বুজলে তোমাকে দেখি ,
তুমি সবুজ শাড়ীতে সাদা শাল জড়িয়েছো,
হেটে যাচ্ছ কুয়াচ্ছন্ন সেই পথে,
যেখানে পিছু ফেরার অবকাশ বলে কিছু নেই।
ভালোবাসি অনেক,
অনেক।