চোঁখে সুন্দর লাগলেই সে চরিত্রবান
এই রীতিটা আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত!
তবে অন্তর চক্ষুর কথা ভিন্ন!
এ চক্ষুত পেটের নাড়িভুঁড়ি পর্যন্ত দেখতে পায়।...
যেমন ছেলেটা কালো হলে "ও গুণ্ডা"
শুকনা হ্যাংলা পাতলা হলে 'গাঁজাখোর'!
ঘাড় খাড়া করে হাটলে "বদমাশ"!
চোখ বড় বড় হলে 'ডাকাত'
এমন করেই চলছে!...
যেমন সিনেমাতেও দেখি,
সুদর্শন নায়ক
কালো গুণ্ডাকে পিটাচ্ছে!..
আমরা আসলে চোঁখের মধ্যেই বিবেককে বসিয়ে নিয়েছি!
কিন্তু বিবেকত থাকে সারা শরীরে-মাথায়!
অন্তর চক্ষু জাগে না!
জাগে মোদের আবেগ!
আবেগে বিবেক খোয়াই
চক্ষুরে বানাই মাথা!
মাথাচাড়া দিয়ে উঠি বিবেকহীনতায়!
সংকীর্ণ মনে, উচ্ছ্বাসে ভাসাই জীবন সমাজ
সহজ
আসলে আমরা খুব কম দেখতে পাই!
এমন করেই চলছে!...
ওই কালো ছেলেটা
হ্যাংলা পাতলা শুকনাটা
ঘাড় খাড়া করা বদমাশটা
চোখ বড় বড় ডাকাতটাই
একসময় সত্যি সত্যি ডাকাত হয়!
বানায়! সমাজ দ্বারা বানানো হয়,,
আসলে আমরা খুব কমই দেখতে পাই/দেখতে চাই!
সুদর্শন পুরুষ তথা পছন্দের কেউ প্রেমের কথা বললে
হয় "ভালোবাসা", নয়ত "ইভটিজিং"!
মনের মত মিলন শেষে
মনের মানুষকে মনের মত মনে না হলে
হয় "ধর্ষন"!
চোখ, সবই চোখের খেলা!
"অন্তর চক্ষু" নয়ত "চোখ"!
চোখ যা চায় না, মন তা খায় না।
দেখতে পাওয়া, নয়ত
না দেখায় নাও বাওয়া!...
উচ্ছ্বাসের উজানে, আনন্দে সহজে...
সবই মন আর মনস্তত্ত্ব।
বিবেক এবং মনুষ্যত্ব
২৫-০৮-২০২২