এখনো কেন সে এল না? বাজে যে ছটা
মিছে আয়োজন, মিছে সাজগোছ ঘটা।
আর একবার ছাদে উঠে নয় দেখি
পূবদিককার গলি দিয়ে আসছে কি?
চিঠিতে লিখেছে আসবেই ঠিক আজ রবিবার সাঁঝে
কেন আসছে না? হলো তো সময়। ভুলে তো যায়নি কাজে?
ওই না শুনছি রিং
সাইকেল বেল কানে যেনো এল, টিংটিং ঠিংঠিং।
কত যে কষ্টে করি তার সাথে দেখা
বিধাতা জানেন আর আমি জানি একা।
অভিভাবকেরা বারণ করেছে ডেকে
মণীশের সাথে মিশ না এখন থেকে।
দুজনেই বড় হয়েছ তোমরা, নয় আর ছোট তত
বেশি মেলামেশা দেখায় না ভাল, আগের দিনের মত।
অর্থটা বড় সোজা
ভালো যে আমরা বেসেচি ক্রমশ বাইরেও গেছে বোঝা।
বড় আশা করে সারা সপ্তাহে ধরে
চেয়ে আছি পথ এই সাঁঝটির তরে।ে
নানা ছল করে আছি বাড়ি আজ একা
নিষ্ঠুর মোটে দিলে না লুকিয়ে দেখ।
সদরের কড়া নাড়লে কে যেন মনে হলো। দেখে আসি
কই? কেউ নয়, মনের ভ্রান্তি । দুঃখেও আসে হাসি।
কী ব্যথা আমার বুকে
সে যদি বুঝতো এত দূরে সরে পারতো থাকতে সুখে?
ওই আসে বুঝি। চৌমাথা মোড়ে ও-ই
কভার প্যাকেটে হাতে কি রয়েছে? বই?
বার্নার্ড শর লেটেষ্ট নাটক খানা
নিশ্চয় কিনে আনছে আমার জানা।
কোঁকড়ানো চুল। সোনালী মুগার ঢিলে পাঞ্জাবি গায়ে
চলার ধরণ ঠিক তারই মত চঞ্চল দৃঢ় পায়ে।
একি? এত নয়? ভুল।
তারি মত জামা। তারি মত হাঁটা। তেমনি কোঁকড়া চুল।
কই? এখনও মিললনা দেখা মোটে
চোখে শুধু শুধু জল কেন ভরে ওঠে?
বুকের ভিতরে গুমড়ে কান্না কী যে
একি অসহায় নিরুপায় আমি নিজে।
সত্যি তবে ব্যর্থ কি এই চেয়ে থাকা পথ পানে
এলনা তাহলে? সত্যি এল না? কী আওয়াজ এল কানে?
বাইরের জানালায়
আঙুরের টোকা পড়ছে কি? না তো। হাওয়া ঠেলা মেরে যায়।