প্রাণ তীর্থ যাত্রী মোরা গৃহ উদাসীন
কলঙ্কের কলরোল ধ্বনিছে পশ্চাতে,
স্নেহ শূন্য স্বজনের গ্লানির সম্পাতে
আজ মোরা অখ্যাতির গৌরবে বিলীন।
সুন্দরের শঙ্খধ্বনী শুনেছি যেদিন
শৈল শৃঙ্খ টলে যথা হিমবাহঘাতে,
সর্ব দ্বিধা-বাধা লজ্জা ঠেলে দুই হাতে
সাড়া দিছি সে আহ্বানে ভয় কুণ্ঠাহীন।
আনন্দ পাথেয়ে চলি নবসূর্য পথে
হিসাবের গুরুভার নেই মনোরথে।
যে দেবতা উর্ধ্বে ডাকে মাটির মানবে
কেমনে আসন তাঁর পাতি ধুলা পরে,
যে প্রেম সংকীর্ণ প্রাণ দিল মুক্ত করে
সে প্রেম কি মূঢ়তার বন্দী হয়ে রবে ?