আলো! ওগো আলো! দিবা দীপ জ্বালো, ঢালো রবিকর চোখে
অন্ধ কুঁড়ির মুক ক্রন্দন  মন্দ্রিল লোকে লোকে
আঁধার ধরার অশ্রু নিশাসে কুজ্ঝাটি ওঠে জমে
মহাকাশ থমথমে
নিথর পৃথিবী স্তম্ভিত মুক অভাবিত কোন শোকে।

সপ্ত লোকের প্রাচীন টুটিল রুদ্ধ ব্যথার বেগে
কালোর গর্ভে আলোর বিদ্যুৎ ঘনাইল মেঘে মেঘে।
নীরব প্রশ্নে সৌর আকাশ আলোডি উঠিল তায়
বসুধার বেদনায়
আঁধার কারার বন্দিরা যত উঠিলরে আজ জেগে।

বিদ্রোহপুর সে কাতর সুর পশিল অরুণ লোকে
তরুণ সূর্য উকি দিল পূবে বিষ্ময় স্মিত চোখে
কিরণ পরশে টুটে গেল দৃঢ় তামস লৌহদ্বার
মহা ঝনঝনি তার
বিহগ কণ্ঠে ঝঙ্ক উঠিল বাতাস শঙ্খ ফোঁকে।

সারা জগতের মানুষ কাঁদিছে ওগো আলো, ওগো প্রাণ
নরের শৌর্য পীড়িতা নারীর অন্তর আহ্বান
বিপুল বেদনা মুক ক্রন্দনে উর্ধ্বে ধুমায়ে উঠে
শক্তির পায়ে লুটে
বন্দি বিশ্ব আত্মা করিছে  মুক্তি আলোর ধ্যান।

শত শৃঙ্খলে প্রকৃতিরে বাঁধি পীড়ন করিছে নর
কাঁদে যৌবন সৃজন ব্যথায় দেবতা নিরুত্তর।
পাশব শাসনে জীবন কাঁদিছে কাঁদে প্রেম কাঁদে স্নেহ
এ ভুবন কারা গেহ
কখন উদিবে প্রলয় প্রভাতে সত্য তপন কর ।।