হৃদয়ের মাঝে উটিল যেদিন কলঙ্কহীন চাদিঁমা সম
প্রথম প্রেমের স্বপন মম
অন্ধপ্রানের গারো-যবনিকা
ধীরে গেল সরি আলোকের শিখা
বিভাসিত করি তুলিল হৃদয়
কি মনোরম
আঁধারে জীবনে এলো প্রমোদয়।
রজনীর গারো তিমিরের রাশি
নিমেষে বিনাশী
পূর্বপথে সূর্য ঝলকে অরুন রথে
তেমনি মহান অপূর্বতর
তমশা ভেদিয়া জ্যোতিনির্ঝর
উৎসার হল আঁধারে জীবন
আকাশ হতে
এলো নগর রূপে নিখিল ভুবন প্রানের পথে।
তুষার শুভ্র তীব্র শীতের নৃত্য গীতের
হিমেল সুরে
মরমের বীণা ছিল তো পুরে।
নির্মম বেগে উত্তর বায়ু
শুষিয়া লয়েছে যৌবন আয়ু।
চির বিবর্ণ মনো বনে সদা
নিহার ঝুরে
ছিল কুহেলির কান্না একদা
সকল সুরে।
এলো বসন্ত হিম কুজ্ঝটি গেল টুটি টুটি
বহিলো ধীরে
দখিনা মলয়ে কানন ঘিরে
কচি পল্লবে কিশলয়ে ফুলে
তরুলতা তৃণ ওঠে দুলে দুলে।
নব ফাগুনের উৎসব ঘটা
হিয়ার তীরে।
কুসুমে কুসুমে বরণের ছটা
ফুটিলো ধীরে।
ঘনমাধুর যে পুরিল হৃদয় প্রাণ তন্ময়
অমৃত রসে।
স্বর্গের সুধা পরানে পশে।
এলো আনন্দ সুন্দর বেশে
সোনার কাঠিটি ছোঁয়াইল হেসে
চির নিদ্রিতা পাতাল বালার
সুপ্তি খসে।
প্রেম প্রসূনের বরণ মালার
পরশ রসে।