মূলভাব: জালালুদ্দীন রুমী রহ:
কাঁদছে বাঁশি করুন সুরে
বিশ্ব জাহান কাঁদছে তাই,
কান পাতিয়া শোন হে ভাই,
বাঁশির কান্না বলে যাই৷
"যেদিন থেকে হলাম জোদা
বাঁশঝারের ঐ জুড়িতে,
সেদিন হতে আর্তনাদের
উঠছে সুর হৃদ পুরিতে ৷
আমার মতো বিরহেতে
কাঁদেন যিনি সারাক্ষণ,
তিনি ছাড়া বুঝবে না গো
কি হালতে আমার মন ৷
আপন ঘরের সন্ধানেতে
থাকেন ধরার সর্ব লোক,
তাইতো ঘরে ফেরার নেশায়
কাঁদছে আমার দুটি চোখ ৷
যেদিন আমি বিদায় নেব;
ক্ষণকালের মুসাফির,
কান্না আমার থামবে সেদিন
আশেক হৃদয় হবে স্থির ৷
আপন খেয়াল কল্পনাতে
ভাবে বন্ধু শতো
কেউ বুঝেনি হৃদয়ে মোর
কাহার প্রেমের ক্ষত ৷
কাঁদে যখন হৃদয় আমার
সঙ্গে কাঁদে দুটি চোখ,
নিকট আখিঁও বুঝে নাগো
মনে বহে কতো দুখ ৷
তন থেকে মন নইকো জোদা
তবুও খুঁজি কোথায় মন,
দেহ কবু পায়না গো টের
হৃদয় মাঝে কি স্বপন ৷
আমার কাঁদন বন্ধু হবে
বন্ধু হারা যেই জনা,
দুইজনাতে একি হালত
একি সুরে হয় কান্না ৷
বিচ্ছেদেতে দিন গেল মোর
পাইলাম না আর বন্ধুকে,
বেদনাতে নয়ন ভরে
ভাসতে দেখি সিন্ধু কে" ৷
প্রেমের কথা না বুঝিলে
করব না গো আর কালাম,
রুমী বলেন,বিদায় হলাম,
তোদেরকে দিয়ে সালাম ৷৷৷
(মসনবী শরীফ থেকে অনুবাদ)