আমি একাংশের এক গলিত কণার সাথে থাকি
এক অসামান্য বর্ণহীন সভ্যতার নাগরিক শূন্যতার আততায়ী শরীরে
বাঁচার তাদিগের গোড়াপত্তনের পৈতের মত
ঝুলে থাকি লেনদেন তন্ত্রের আদিমতায়, নিমিত্ত ভাষার খেদ বিগত যৌবনের দাসে ।
কেউ কি আছে ? আমি খুঁজি ফিরি
বালিশের পলেস্তারায়, নিঃশব্দের নিখুঁত অঙ্গিকার
কতদিন আগে দিয়েছিলাম একে অপরকে, এক পারস্পারিক বোঝাপড়া
বেপরোয়া ঘর আর ঘরে বাইরের সেই চেনা জানা এবং অপরিচয়ের বাঁধন
সবই কেমন সামান্য রদবদলের হিসাবে বেশ গোছানো, প্রত্যয়ের কথাদান
বেশ তো চলে যেত, মানবিক ক্ষুধার নীল লাল আদিমতার পারদে মেপে
কে কোথায় কত দিনে বিকিয়েছে কত দামে হিসাবে, চলে যেত
যেভাবে এ পৃথিবীর বৃহৎ অধ্যায়ের জীবন প্রত্নতাত্ত্বিক রসায়নে বয়ে গেছে
মা বাবা বা আমাদের আরও শতাব্দীর জীবনী পাঁচালি
তাদের রুধিতে কি এমন ঘুম ছিল, এমন নির্জীব বেদনার বিষ
নাকি এ এক অদ্ভুত বিচারের ধারা, যারা চলে গেছে নীল পলাশের ভোরে
তারাও এই রকমই এক নিখুঁত আয়োজনের ভারে আর মেলেনি চোখ
রোশনাই হৃদয়ে তাদেরও ছিল অনুরূপ ব্যথা, অতান্দ্রিক কোলাহল তাদেরও
জীবনে ছিল এমনই ভরপুর এক নৈর্ব্যক্তিক শূন্যতার আশু হাহাকার
আমার শূন্যতা ভিড় করা নাগরিক অক্ষরে একাংশের গলিত কণায়
পথের দিগন্ত থেকে দিগন্তের বৈভবেও ভেবে দেখেছি আমি ব্যাংগাচি ই বটে
বর্ণহীন সাম্রাজ্যের নাগরিক নিয়মের ফাঁসিতে আমি কবে লটকে গেছি
গলিত দেহের মিছিলে শুধু আমি একাংশের হাজিরা ... স্যর প্রেজেন্ট।