( For the tribute on engineers day)

এই যে মাটি, আকাশ, আলো.. নক্ষত্র...রাত ও ক্ষুধা
নিকটবর্তী ভাষার বাঁধন  মাত্রতো কিছু শতাব্দী. আমাদের প্রপাপিতামহদের ইতিহাসের ইতিহাস, কালের আরো উন্মেষ চেয়ে দেখ সে সময় কত নক্ষত্র লোক পেরিয়ে গেছে...অনেক অনেক কাল...অরাজক প্রকৃতির ধেঁয়ে আসা বিবেকহীন প্রলয়ে

সেই কালের...
মানুষের ভাষাহীন..ধর্মহীন. অসহায় অচেতন বেঁচে থাকায়. আমার সাক্ষি.. এই উপনিবেশিকতার ....প্রাচীনতার প্রাচীর ভেঙ্গে হৃদয়ের অশনীতে, কাঙ্ক্ষিত প্রেমিকের রূপ
চেয়ে দেখ মানুষের রূপে এতদিন এত সুধাময় আদরে আমাদের চেতনার স্নায়ুতে বয়ে গেছে..সে রহস্য ..তুমি তাকে বলে থাক সৃষ্টি ..কেউবা বলেছে প্রলয়...সহস্র শতাব্দীর শব্দে ঘিরে আছে ভাষায় ও ভরসায়...লাল নীল... মানবিক ব্যাকরণে..

আজ বর্ধিত বিশ্বাসের ভারে ...মানবিক প্রকল্পে এসেছে চরম নিশ্চয়তার প্রলেপ...সকলেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে...বেছে নিতে পারে... নিজেদের ঈশ্বর...
মানবিক উল্লাস আমি তাকে বলি বটে...তবে সে এই সময়ের ঘেরাটোপে বন্দি.
এ যাবৎ কালের ভারে সে ছিলো আরো প্রগাঢ় সত্য হয়ত.. আরো রহস্যের আলেয়া.কোন সিদ্ধান্তের ফল নয়...বরং সে আমাদের ... এই মানুষের একজন.
তুমি আমি আমরা...আর আমাদের ভাষা. .
ভেবে দেখ. সেই ভাষার ও আগে, প্রাচীনের ও প্রাচীনতায় সে-ই জ্বালাল  প্রথম শিখা..শত সহস্র কালের বন্ধন ভেঙ্গে.সে যাত্রায় ..
এলো আগুন. অসীম সৃষ্টির
সম্ভাবনা, ধ্বংসের আঁচল বেয়ে  উঠে আসছে সৃষ্টি.
অজানার অভ্যন্তরের টানে

সেই প্রথম যন্ত্রে
এই সভ্যতার শিরা থেকে উপশিরায় যে চেতনার স্নায়ু ছুটে চলেছে....বিশেষণের প্রাচুর্যে. সে  আজ যতই  আরাধ্য..হোক, সহস্র বিবেকের বিতর্কে সে যতই ঈশ্বর হোক কারো কারো... সে আমার হৃদয়ে.. বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার..শিখিয়েছে বানাতে শিখা. এই সভ্যতার সবচেয়ে  
প্রয়োজনিয় প্রজ্বল্লনের যন্ত্র শিবলিঙ্গ.
..