আমি সমকালীন মানুষের মনে বেঁচে আছি কেমন যেন
যারা এই পথে হেঁটেছে .যারা অতীত,
তারা আমায় বিরক্ত করে না...মুগ্ধ করে না... হয়ত
তাদের হদিস নেই.. কোথায় উবে গেছে...সমস্ত মহত্ত্ব কেমন শূন্যতার নোংগরে বেঁধে. আমার মত হাজার . আমি বেঁচেছে . শুধু সমকালীন হৃদয়ে.. তারপর
সভ্যতার আতুরে আর হাতুড়ে আয়োজনে..আহা কত মহত্ত্ব এল ... যেন এটা তাদের অর্জিত, আমার অর্জিত অধ্যায়ের বিন্যাস...সমকালীন স্বাচ্ছন্দ্য... আরো মনোরমের ভারে... সে হয়ে ওঠে এক একটা বিবেক..
আমি এগুলো শিখতে থাকি... রক্তে এবং মনে আমার প্রগতির ফিসফিস... এই দেখ সভ্যতা সভ্য হচ্ছে... অতীতের সমস্ত মৃতের এতদিন ধরে বলে যাওয়া শব্দে যাকে উপাধি...দিয়েছি... উপলব্ধি বা জ্ঞান আমার আমিতে ভরে যাচ্ছে... উপচে যাচ্ছে এক বিরল মহানত্বের ভারে... আমার দিন কিছুতেই আর মৃত হচ্ছে না... এক সম্মোহনী যুগ্ম তায়...আমার আর একাকীত্ব নেই..সভ্যতার আদপে...উবে গেছে ...মন খুলে একলা হবার ঝুঁকি...
আমি সম্মানিত হই... সমকালীন মানুষ আমায় বিজ্ঞানী, শিল্পী, উদ্ভাবক ...শিক্ষক গড়ে তোলে... হাজার আমিতে ভরে যায়... সমকালীন প্রয়োগ.. যুক্তি এবং এই সম্মান প্রদানের সম্মানে...
এরপর সমকাল কমতে থাকে... আর আমিও হাজার আমি থেকে রেহাই পাই... একলা হতে থাকি... সমকাল শেষ হয় না... এক আমি বিদায় নিলে...আবার এক আমি মহত্ত্ব অমৃতে সমকালীন সভ্যতার পারদে মাপতে থাকি...আমার শুন্যঘর অসমকালীন বলেই...হয়ত হদিস হয় না.