আর কতকাল ঘুমোবি মা
আর কতকাল বল?
চারদিকেতে নাচছে এখন
শয়তানদের দল!

ঠগ, জোচ্চোর, ধাপ্পাবাজে
দেশটা গেছে ভরে,
বিষাক্ত এ বিষের জ্বালায়
প্রাণটা কেঁদে মরে।

দেখলে তাদের কীর্তিকলাপ
মাথায় রক্ত ওঠে,
শিরায় শিরায় রুধিরধারা
তুফানবেগে ছোটে।

আমার হাতে থাকত যদি
তোর মতো ওই খড়্গ,
পিশাচগুলোর মুণ্ডু কেটে
দিতাম তোকে অর্ঘ্য!

একটা শ্রেণি হচ্ছে ধনী
দিনের পরে দিন,
আরেক শ্রেণির আঁধার জীবন
কাটছে অন্নহীন।

কেউবা দেখে সুখের স্বপন
টাকার উপর শুয়ে,
কারো স্বপ্ন যাচ্ছে মাগো
চোখের জলে ধুয়ে।

অর্থ দিলেই চাকরি জোটে
শিক্ষার নেই দাম,
মূর্খ রাজা ঘোরায় ছড়ি
এই তো পরিণাম!

শিক্ষা যে আজ ভিক্ষা করে
গলির মোড়ে মোড়ে,
বেকার জীবন অন্ধকারে
তলায় ধীরে ধীরে।

নেতারা সব টাকার কুমির
তুলছে দালানবাড়ি,
গরীবলোকের হকের টাকায়
দিচ্ছে বিদেশ পাড়ি।

দেশের খেয়ে দেশের পরে
দেশের নিন্দা করে,
দেশটাকে আজ বিকিয়ে দিয়ে
নিজের পকেট ভরে।

সাধারণের সুখের জীবন
করছে যারা পণ্ড,
সাধু সেজে ঘুরছে কেবল
মতলবি আর ভণ্ড।

ভণ্ডামিতে শ্রেষ্ঠ তারা
অত্যাচারীর বাপ,
দুধকলা আর অর্থ দিয়ে
পুষছে কালসাপ।

মেয়েমানুষ দেখলে এদের
নোলায় লালা ঝরে,
রোজই নারীপাচার খুন ধর্ষণ
ঘটছে নিয়মকরে।

নারী তো জানি মায়ের জাতি
দেবীরই এক রূপ,
সেই নারীকেই পণ্য দেখেও
ক্যামনে থাকিস চুপ?

রাজনীতি আজ রাজার নীতি
নয়তো নীতির রাজা,
ঘুরছে দোষী বুক ফুলিয়ে
বিনা দোষীর সাজা।

নেতামন্ত্রী ষড়যন্ত্রী
সবাই গেছে মিশে,
আতঙ্কিত দেশবাসী তাই
পায়না খুঁজে দিশে।

ধর্মের কল বাতাসেতে
আর ওঠেনা দুলে,
ধর্ম-শিক্ষা-স্বাস্থ্য নিয়েই
রাজনীতিটা চলে।

হাঁসফাঁসিয়ে উঠছে পরাণ
আর লাগেনা ভালো,
আলোর দিশা দেখা গো মা
ঘুচিয়ে সকল কালো।

রক্তনেশায় পাগল হয়ে
আয় না রে তুই সর্বনাশী,
প্রলয় নৃত্যে ঝড় উঠিয়ে
হাসরে ভীষণ অট্টহাসি!

দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীদের
নিজের হাতে দে মা বলি,
ওই ব্যাটাদের রক্ত নিয়ে
খেলবি আয় গো রক্ত-হোলি!

ক্ষমতা বলে করছে যারা
নারীকে লাঞ্ছনা,
বাজিয়ে ডঙ্কা মরণধ্বনি
এবার তাদের শোনা!

ভণ্ড যত পাষণ্ডদের
মুণ্ডু কেটে গলায় পর,
দেখিয়ে দে তুই স্নেহময়ী
রাগলে কত ভয়ংকর!

খড়্গ হাতে ওঠ মা মেতে
দেখিয়ে দে তোর রাগ,
ধরার অসুর করতে নিধন
ঘুম থেকে তুই জাগ!
🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🙏🌺🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱🔱