আমার যৌবনস্বপ্নে যেন ছেয়ে আছে বিশ্বের আকাশ ।
ফুলগুলি গায়ে এসে পড়ে রূপসীর পরশের মতো ।
পরানে পুলক বিকাশিয়া বহে কেন দক্ষিণা বাতাস
যেথা ছিল যত বিরহিণী সকলের কুড়ায়ে নিশ্বাস !
বসন্তের কুসুমকাননে গোলাপের আঁখি কেন নত ?
জগতের যত লাজময়ী যেন মোর আঁখির সকাশ ?
কাঁপিছে গোলাপ হয়ে এসে , মরমের শরমে বিব্রত !
প্রতি নিশি ঘুমাই যখন পাশে এসে বসে যেন কেহ ,
সচকিত স্বপনের মতো জাগরণে পলায় সলাজে ।
যেন কার আঁচলের বায় উষার পরশি যায় দেহ ,
শত নূপুরের রুনুঝুনু বনে যেন গুঞ্জরিয়া বাজে ।
মদির প্রাণের ব্যাকুলতা ফুটে ফুটে বকুলমুকুলে ;
কে আমারে করেছে পাগল — শূন্যে কেন চাই আঁখি তুলে !
যেন কোন্ উর্বশীর আঁখি চেয়ে আছে আকাশের মাঝে !
(কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থ)