অশ্রুস্রোতে স্ফীত হয়ে বহে বৈতরণী ,
চৌদিকে চাপিয়া আছে আঁধার রজনী ।
পূর্ব তীর হতে হু হু আসিছে নিশ্বাস ,
যাত্রী লয়ে পশ্চিমেতে চলেছে তরণী ।
মাঝে মাঝে দেখা দেয় বিদ্যুৎ – বিকাশ ,
কেহ কারে নাহি চেনে ব’সে নতশিরে ।
গলে ছিল বিদায়ের অশ্রুকণা – হার ,
ছিন্ন হয়ে একে একে ঝ’রে পড়ে নীরে ।
ওই বুঝি দেখা যায় ছায়া – পরপার ,
অন্ধকারে মিটিমিটি তারা – দীপ জ্বলে ।
হোথায় কি বিস্মরণ , নিঃস্বপ্ন নিদ্রার
শয়ন রচিয়া দিবে ঝরা ফুলদলে !
অথবা অকূলে শুধু অনন্ত রজনী
ভেসে চলে কর্ণধারবিহীন তরণী !
(কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থ)