বাংলার প্রথম স্বাধীন  নবাব  মুর্শিদকুলি খান ।
ধীরে ধীরে বাড়ায় বাংলার রাজনৈতিক সম্মান ।।

নিজের সুবিধার্থে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ আনা হয় রাজধানী ।
যেনো বাংলার দেওয়ান ও রাজস্ব দপ্তরে হয় না কোনো হানি ।।

মুর্শিদকুলি খানের ভূমি রাজস্ব সংস্কার  নীতি ।
ভারতে সবচেয়ে  উঁচু করে দেয় বাংলার স্থিতি ।।

ইজারাদারদের দিয়ে ভূমিরাজস্ব আদায় করতেন তিনি ।
যদুনাথ সরকারের মতে এই  ব্যবস্থায় ছিল মালজামিনি।।

মুর্শিদকুলি হিন্দুদেরও করেছিলেন রাজস্বের উচ্চ পদে নিয়োগ ।
হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে রাখতেন না কোনো যোগ বিয়োগ ।।

দরিদ্র কৃষকদের চাষের জন্য দেওয়া হতো টক্কাভি নামক ঋণ।
গবাদি পশু ও  বীজ কিনে কৃষকরা সফল করতো চাষের দিন।।

জমিচ্যুত জমিদাররা পেতেন নানকর ভাতার লাভ ।
রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত জমিদারদের হতে দেননি অভাব।।

মুর্শিদকুলির পরে সুজাউদ্দিন , সরফরাজ ,আলীবর্দী খান।
অবশেষে সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব পদ পান ।।

পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রভাব।
বাংলার নবাব পরিবারে দেখা দেয় বিশ্বাসের অভাব ।।

ঘসেটি বেগম ও সৌকত জং করেছিলেন চক্রান্ত ।
ফলে বাংলার নবাব সিরাজ হয়েছিলেন আক্রান্ত ।।

ব্রিটিশ সাহায্য দ্বারা সিংহাসনে বসেন মীরজাফর ।
বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেনি তার নবাবী সফর ।।

মীরজাফরকে সরিয়ে মিরকাশিমকে বসান সিংহাসনে।
ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপ জাগে মিরকাশিমের মনে।।

বক্সার যুদ্ধে তিন মিলিত শক্তির পরাজয় ।
বাংলায় স্বাধীন নবাবী শাসন সমাপ্ত হয় ।।