মহাজনঃ কিরে ভোলা, খাচ্ছিস দোলা ?
যাচ্ছে কেটে দিন,
নেই কি মনে প্রতিক্ষনে
চলছে বেড়ে ঋণ ?
ভোলাঃ কেন মশায়,কি হয়েছে ?
ভালোই আছি বেশ,
সবখানেতে নিয়ম নীতি
চলছে কঠিন দেশ।
মহাজনঃ মাস পেঁরুলেই বছর হবে
অংক কষা শেষ
দিগুন সুদে লাক্ষ সুধীলে ও
থাকবে কিছু লেশ।
ভোলাঃ সে কি মশায়,যা নিয়েছি
গত বছর,শোঁধ করেছি তাই।
বললেই হল দিগুন সুদে,
অমন, হারাম টাকা নাই।
মহাজনঃ চুপ বেয়্যাদব,আমার টাকায়
হাত বাড়াতে গিয়ে,
কত কথার দোহায় দিয়ে
উঠলিনা না নিয়ে।
ভোলাঃ দেখুন মশায়,আস্ত কশায়
পরের রক্ত চুষে,
অসহায়ের কষ্টের টাকা
খাঁচ্ছেন চোখ বুজে।
মহাজনঃ বলে কিরে ,যাচ্ছি ফিরে
অত কথা নয়,
আমার টাকার ঘোর- ফের হলে
রক্ষে কারো নেই।
ভোলাঃ ভদ্রতার এই মুখোশ পরে
ভালোমানুষ সেজে,
পাপের টাকায় বাঁচবেন কতই
দুদিনের এই দেশে।
মহাজনঃ এই ছোঁকরা ছাড় নকরা
আমার টাকা দে,
বছর কিস্তি দিতে না হয়
আরো কিছু নে।
ভোলাঃ রাগছেন কেন আস্তে বলুন
কিসের দেখান জোর,
পাপের টাকায় প্রাসাদ গড়ে
লেগেছে নিশার ঘোঁর ?
মহাজনঃ কালে- ভালে দেখা পেলে
তবেই হবে কাজ,
কোথায় তখন মুখ লুকাবি
ভেঙে দিব লাজ।
ভোলাঃ আরে চাচা ,যাচ্ছেন কোথায় ?
একটু খানি বসেন,
সব কথাতো করলেন স্বীকার
এবার, দারগা মশায় আসেন।