যেই বধূটির উঠান ঘিরে
হিংসার কালো ছায়া,
কি জানি কি? অভিশাপে বধুর
জোটেনি এতটুকু মায়া ।
শিশুকাল ছিল বড় বিষময়
মা হীন সংসারে,
আদর যতন জোটেনাই যে তার
সৎমার সংসারে।
মা যদি বলিত কাজের কথা
বাবা বলিত বস,
কঁচি খুকি সেত, পারিবে কি অত ?
নিজেই করিয়া দিত ।
খাটুনির ঘোরে কখন কাটিছে
দুরন্ত কৈশর,
নিরবে আসিছে যৌবন বেলা
এসেছে শুভক্ষন।
রুপসী বধূর রূপ ছিল অতি
তাই ক্ষনিকের মোহে,
আস্তে আস্তে বাস্তবতার
ফিরিল কঠিন দোরে।
সংসারে যার ঝুট ঝামেলায়
বিরাম হীন কাজ করে
ক্লান্ত বধূর জুটতোনা সুখ
অবসরে নিজ গৃহে।
স্বামীর সোহাগ জুটত না তার
শতধায় অনাদর,
কষ্ট ব্যথায় রোগে আর শোকে
কেদে হত রাত ভোর ।
শশুর যদিও বড় ভালো লোক
বধুরে বাসিত ভালো,
এত বাধা ভেদে কতক্ষন তাহা
অচিরেই হল কালো।
দেবর দেখিত রুপ বধুয়ার
শ্বাশুড়ী দেখিত কাজ,
ননদ ভাবিত তাড়াতে পারিলে
সংসার হত তার ।
ননদ জামায় দুর থেকে বসে
বুনে ছিল মায়া জাল,
চরিত্র হীন স্বামীটি বধূর,
জানিত কি চায় তার ?
যৌতুক কিছু পায়নি বলে
সদা করে জ্বালাতন।
দিশে হারা বধূ বড় অসহায়,
বুঝিবে কে তার মন ?
কোথায় অর্থ কোথায় বৃত্ত
কি বা বধু পেল ?
যা ছিল বধূর বাবার দেওয়া
সবি যেন মিছে হল।
সেদিন বধুর সংসার ঘিরে
হঠাৎ ঘটিল যাহা,
সকলেই জানিল বাচিবে না বধু
গোপনে বলিল আহা!
মুখ ফুটে কেহ বলিল না কিছু
করিল না প্রতিবাদ,
রক্তে মাখা অসহায় বধূ
পরিলো মরণ তাজ।
প্রতিবাদ হীনে এভাবে বধুর
কঠিন মরণ হলে
প্রতিনিয়তই মরিবে যে বধূ
অনিয়ম অবিচারে।