তোমার কি মা, এমন হত আমার যেমন হয় ?
চোখের আড়াল হলেই বাছা মনে লাগে ভয়।

একলা তারে রাখলে মাগো কত না সংশয়ে
পাগল পাগল লাগে আমার নানা রংয়ের ভয়ে।

রাখলে ঘরে মনে হয় মা ফ্যান টা যদি পড়ে?
কারেন্টেতে হাত দিয়ে সে যদি বা সক করে ?


কাপড় শুকতে ছাদে গেলে ও এমন কেন হয়,
কাঁদছে বুঝি খোকন আমার, প্রাণটা না আর শয়।

প্রয়োজনে বাহিরে গেলেও দৌড়ে ঘরে আসি,
খোকন আমার দিব্যি ঘোমায় নিজে নিজেই হাসি।

বাবার সাথে বাহিরে দিলে ও মনটা ভয়ে পোড়ে,
ছটফটানি লাগে আমার মন বসেনা ঘরে।

তাঁরে ছাড়া দুইটা মিনিট থাকতে না মা পারি,
ভাবছো কি মা এ সব আমার বেশি বাড়া-বাড়ি?

সত্যি বলছি মাগো আমার আরো অনেক ভয়
বার্থ রুমে ও গেলে আদেল ডাকছে মনে হয়।

ভাবনা গুলো এমন যে মা শুনলে পাবে হাসি
আমার জীবন তুচ্ছ মাগো এত ভালোবাসি।

সেইতো আমার পরম সুখ মা সেইতো আমার খেলা
সবখানেতেই আদেল আমার আমার সারা বেলা।

আমি যেমন সে ও তেমন আমায় না আর ছাড়ে
সব কাজ মা করতে হয় যে কোলে নিয়ে তাঁরে।

ঘুম থেকে মা জেগে যদি আমায় না পায় কাছে
কঠিন সে দিন যায়না ভালো,অনেক করে কাঁদে।

আদেল এখন কথা বলে কচিঁ মুখের ভাষা
তারি মাঝেই স্বপ্ন আমার, সকল সুখের আশা।

কাজ করে সে আমার সাথে আমি যাহা করি
যতই বকে দেইনা কেন, থাকে আচঁল ধরি।

কাপড় ধোয় সে আমার সাথে তরকারি ও কাটে,
বায়না ধরে বাবার সাথে যাবে সে যে হাটে।

ব্যাগ নিয়ে বলে লাগবে কিছু ? হাসে মিষ্টি করে
বাবার অনুকরন করে মন্টা সুখে ভরে।

একলা থাকি মা আর ছেলে তাইতো সারা বেলা
আমি ছাড়া জমেনা তার মনের মত খেলা।

বাপ ছেলেতে ঝগড়া তাদের ভালো-মন্দ নিয়ে
বলছে পচা ,মেরে দাও মা,কাঁদে মুখ ফুলিয়ে।

খেলা-ধুলাই উৎসাহি সে ,বিরক্তি তার নাই
তার শুধু ঐ একটা দাবি,আমি থাকা চাই।

শুনবে মাগো অনেক কথা এলেই তুমি তবে
আদেল সোনার কত স্মৃতি জমে প্রতি ক্ষনে।