চারিদিকে হাহাকার শুনিতে পাই
একমুঠো ভাতের আশায়,
নিরন্ন মানুষেরা যেন সবাই
বিপন্ন বস্তিতে ভিড় জমায় ।
ভেঙ্গেছে বাঁধ সবার মাথায় হাত;
কি করবে ভাবছে তাই বসে সারারাত ।
বাঁনের ভয়ে কাটিছে সবার বিনিদ্র রজনী
তবুও মানেনি বাধা নিঠুর এই বন্যার পানি,
ঘরের চালা ডুবুডুবু প্রায়, উঠোন ভরা জল
গবাদী পশু-আবাদী জমি সবই হয়ে গেছে তল ।
হায়রে ফসল! সোনার ফসল সব হয়ে গেল নষ্ট
মাথায় দুহাত দিয়ে বসে পরে মনে নিয়ে কষ্ট,
রাস্তার দুধারে আবার স্কুল ঘরের মরা আঙ্গিনায়;
নেই কোনও খাদ্য পানীয়- তবুও এটাই নিরাপদ আশ্রয়।
নীড়হারা চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকে সবে
ক্ষুধার্ত-তৃষ্ঞার্ত, আমাদের মাঝে ত্রাণ আসবে কবে ?
নিরাপদ পানীয়- খাদ্যভাবে ঝরে গেছে কিছু প্রাণ
দিন যেতে যেতে অপেক্ষার প্রহর শেষে, একদিন আসিল সেই ত্রাণ ।
তবুও আসেনি সকালে, এসেছে বিকেল বেলায়
ত্রাণ বিতরণে যেন মেতেছে সবাই রাজনীতির খেলায়,
ত্রাণ যেন নয় এ যে এক রাজনীতি ভয়ানক বিভীষিকাময়
হাতে কিছু খাবার দিয়ে বলে ‘এবার ভোটটা কিন্তু চাই’ !
তবুও হায়! কেউ পায় আবার কেউ পায়না,
তাদের চোখের জল বন্যার মাঝে দেখাতো যায়না ।
এটাই কি স্বাধীন দেশের সমাজ সংস্কারের প্রকৃতি ?
যদি হয়- তবে বন্ধ কর ‘সহিংসতায় ভরা মেকি এ রাজনীতি’ !
বন্যার্ত ওরা ক্ষুধার্থ,অসুস্থ- ওদের করিতে হবে সেবা,
খাদ্য-পানি, ওষুধ নিয়ে এগিয়ে আসবে কে বা ?
আমাদেরই সাহায্যের মনোভাব নিয়ে হবে এগিয়ে যেতে;
টাকা-পয়সা,খাদ্য ওষুধ ও দোয়া চাই তারই সাথে,
ভুলে সব ব্যবধান হয়ে যাই এক প্রাণ সবাই ভাই ভাই
নিজেকে বিলিয়ে দেই সকল আর্তমানবতার সেবায় ।