মানচিত্রের খোলাচোখে বিশ্ব দেখার সংকল্পে,
দিকভ্রান্ত নাবিকের কাছে পৃথিবী এক নিদারুণ প্রবাহমান নদী।
কূল পাওয়ার স্পৃহায় ককপিটে বসা পাইলটের আকাঙ্ক্ষায়-
মেঘের পাখি এরোপ্লেন।
জীবনের এই ভ্রমণে অতীত এক নস্টালজিক -
ইনসোমনিয়ায় ঠুকরে খাওয়া নিউরনে
পলাতক যত স্মৃতির ধূলোমাখা পেন্ডুলাম।
তারাদের দেশে আলোহীন ল্যাম্পপোস্টে
দাঁড়িয়ে থাকা বুনোহাঁসের চোখের কালো কর্নিয়ায় ডুবে থাকা
আহ্নিকগতির রাতদিনের পার্থক্য।
দার্শনিকের ভাবনার কাছে ক্ষুধার্ত করোটি হায়েনারা
বিভীষিকায় রাত্রিচর অমানিশার ধূসর ধোঁয়াটে রঙের অবয়ব।
পৃথিবী নামক একটুকরো ভূখণ্ড হারানো চৈতন্যে বিকৃত সংগীতের মূর্ছনায় মাতাল।
কপির গ্লাসে চুমুক দিয়ে-
যে শিশু বিশ্বদেখার নাম করে নিজেকে খুঁজে নেয় খেলনা বন্দুকের ডগায়।
সভ্যতার কঠোরত পশুত্বকে লালন করে
যে বৃদ্ধ বয়সের সহস্র ঘরকে আলোকিত করেছে তার কাছে পৃথিবী বিলাসবহুল কোন আভিজাত্যপূর্ণ স্বর্গরাজ্য নয়।
যেখানে সূর্য অন্ধকারের জননী চাঁদ আঁধারের দাস!
সেখানে আলোকবর্তিকা দৃশ্যমান কোন এপিটাফের শ্লোক নয়।
পৃথিবী তার দৃশ্যমান অতীতকে পেছনে ফেলে সভ্যতার দাস হয়ে আয়ূ বাড়াচ্ছে ক্রমাগত।
সাড়ে চার'শকোটি বছরের পৃথিবী যেন আজ নস্টালজিয়া।