একদিন শুধু একটি সবুজ নিবিড় ছায়াতলা
রেষ্টুরেন্টের পাশে ঠিক সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত
মুখোমুখি বসে কিছু কথোপকথনে, অবশেষে রাজি।
যাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল অন্তর পুড়ে পুড়ে
মুখোমুখি বসে কিছু কথোপকথনের পরে তাকে
বন্ধন মুক্ত করার দিন।
“ভালোবাসা থাকবে, স্বার্থপরতা থাকবে না।”
প্রথম দিনের কথাই রাজি থেকেছি-
আশার বিপরীতে আশা থাকে, ভালোলাগার বিপরীতে ভালোলাগা, ভালোবাসার বিপরীতেও।
তার সেই কথা -
“স্বার্থপরতা থাকবে না” তাই কখন যে ভালোবাসা গাঁথুনী দেয় নি, তা বুঝিনি।
মুখোমুখি বসা, কিছু কথা বলা, রেষ্টুরেন্টে কিছু খাওয়া
তারপর বন্ধন মুক্ত করা। এইসব ভাবনায় ছিল।
প্রথমটায় মুখোমুখি বসা,
পরে আর কথা আসে না
ক্ষুধার দাপট যেমন দাপিয়ে বেড়ায়
বন্দী আর শরনার্থী শিবিড়ে
রেষ্টুরেন্টে পাশে প্রিয় খাবার অনেক পদের
তার পছন্দের সাদা গরম ভাত, পাবদা ভাজা, অনেক পদের ভর্তা
ডাল, শুকটি মাছ সব যেন তিতা মনে হলো তার আর আমার
যেন কিছুই বলার নেই আর
সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, সেই ক্ষণ
বন্ধন; মুক্ত করার!
তবুও মুখ থেকে বেড়িয়ে আসল জীবনের প্রথম ডাক “শিউলি”
হতভম্ব আর হতচকিত হয়ে জানতে চাইলো
কিছু কি আছে আর –
বলার !
মুখোমুখি বসে তার মুখে তাকালাম বারবার!
আচ্ছা বলতো শিউলির থাকে কয়টি পাপড়ি !
কেনই বা শিউলি ফুলের এতো শুভ্রতা, সৌন্দর্য মাধুরী !
মুখে কথা নাই
এক দিকে মাথা ঝুঁকে দিয়ে জানান দিল কিছুই জানে না তাই।
আমারও জানা নাই
কে বসে আছে মুখোমুখি
কি হতে চলেছে সে! ঘরনী, সুখি না দুখি!
মনে হয় হেঁটে চলেছি কোথাও-
কাকে যেন বলে চলেছি এদিকে চাও
দেখি সামনে এক অচেনা পরী
শোন; – শিউলির মোট ছয়টি পাপড়ি!
একটি পাপড়ি সৌন্দর্যের প্রতিক
একটি পাপড়ি পবিত্রতায় শুভ্রতায়, সু-ঘ্রাণে ঘিরে রাখে চারিদিক।
একটি পাপড়ি ব্যর্থতার
একটি পাপড়ি ভালোবাসার।
একটি পাপড়ি বার্তা জানায় জীবন খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়
একটি পাপড়ি অনেক কিছু পেয়েও সবই হারায়।।