গভীর অরণ্য বনের গাঢ় সবুজে যে প্রকাশ
তেমনই প্রকাশ তোমার মুখে।
সকালে প্রথম সূর্যের রোদে
আলো মাখায় তোমার মুখে
আর একটি আলোকিত ভুবনের উদয়
শান্ত যে দীঘিটি সে বসেছে তোমার দুই চোখে।
শান্তিময় ভুবন জাগে তখন।

অরণ্য বন হার মেনেছে তোমার ঢেউ খেলানো চুলে
জ্যোৎস্নালোকিত রাতের নরম আলোও হার মেনেছে
তোমার আলোকিত মুখে।
যত কারুকাজ দূরের পর্বতমালায় যত রঙে মেঘের সাথে
সব ঠাঁই নিয়েছে তোমার মুখের নক্সায় অবিকল।
শান্ত নদীর ঘাটে দুইটি নৌকা পাশাপাশি যখন
তেমন নক্সায়, এক জোড়া নৌকা ঠিক ঠাঁই নিয়েছে তোমারই ঠোঁটে।

উপমার রাণী, উপমা কাব্য থেকে তুমি সত্য হয়ে, কবিতা হয়ে-
পাখা মেলে এসেছো আমারই হৃদয়ে যেন অনন্ত কালের সময়ে
শুধু নিঁখুত বর্ণনায় লিখে যাব শব্দ লাইনে তবুও যদি শান্তি মেলে
এক ফোঁটা !
দাহ যাবে মুছে, দহন যাবে নিভে-
যা জ্বলতে শুরু করেছিল তোমাকে আবিষ্কারের দিনে।
সবাই আবাষ্কার হয় না, আবিষ্কার হয় শুধু একজনই
সেই আবিষ্কার, সেই উপমা থেকে বেড়িয়ে এসে সত্য হয়ে
আমার একান্ত ভাবনায়, একান্তে নির্জনে
যেখানে ভাগাভাগি নেই, নেই সত্বা।
আছে শুধু এক, সেই এক ভুবনের তুমি
চিরদিন, চিরদিনেই তুমি, উপমার তুমি, সত্যের তুমি
হৃদয়ের তুমি
ছোঁয়া চাই শুধু সকল সময়ে,
নিবিড় ঘনো শ্বাসে কখনও!
সত্য অথবা কল্পনায়
যে থাকে সারাক্ষণ মন ‌ও মনন ঘিরে।