কোন দাবি না রেখেই বলি বারবার
কিছু বিষাদ, কষ্ট গুলি, দুঃখের ধারা, গভীরের আর্তনাদ নিয়ে
একা একা বয়ে বেড়িও না আর।
দূরের কেউ হলেও ভাগ দাও
আমাকেও ভাগ দাও
আমিও বয়ে বেড়াব তোমার একান্ত সংরক্ষণে রাখা
বিষাদ, কষ্ট গুলি, দুঃখের ধারা, গভীরের আর্তনাদ।
তুমি অস্থির হয়ে পায়েচারী করো না,
মাঝ রাতে নিঃশ্বাস নিতে জানালায় দাঁড়িও না
খাবারের সময়ের অবহেলা করো না
রেখো না ঢেউ খেলানো চুল এলোমেলো
পড়নে রেখো না গতকালের জামা পোষাক!
ভুলে কেন যাও প্রসাধনী আর সু-গন্ধী শরীরে মেখে দিতে!
তোমার অনিশ্চয়তার ভাগ দিও
ভেঙ্গে যাওয়া বাসনার আবেগের ভাগ দিও।
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের চুরমার হয়ে যাওয়া –
টুকরাগুলির ভাগ দিও।
সকল বিষম ওজন ভারের ভাগ দিও,
আমিও বয়ে বেড়াব বয়ে বয়ে
আমিও যাব সহে সহে
সকল দাহ, অনল দুঃখবোধ।
হতে পারি অপরিচিত, তোমার দূরের কেউ
দেখেছি কোন এক ক্ষণে, তোমার বুকে মনে, স্বপ্ন বাসনার ঢেউ।
তোমার সকল বিষাদ, কষ্টগুলি, দুঃখের ধারা, গভীরের আর্তনাদের ভাগ দিও
দাবি রেখো যাব অনন্ত কালেও তৃষ্ণার্থ মনের গভীরে হঠাৎ তুমি যে প্রিয়!
ঐ সবের ভাগ দিও নিজে হালকা করে নিও।
ভাগ দিও, ভরসা রেখ আবারও আসবে ফিরে
যে ভাবে সন্ধ্যায় পাখি আসে নীড়ে
আনন্দ ধারা, হাসি খিল-খিল রাশি
প্রফুল্লতা উচ্ছ্বাস, খোলা আকাশে মেঘদল যেমন যায় ভাসি।।
স্বপ্নরা, সুখেরা আবারও ধরবে বুনন-
শান্তির পায়রা বেশে জগৎ ভ্রমণ।।