নিঃশব্দ রাত
আমি এবং আমার ভাবনা জাগ্রত ৷
বাদ বাকি সবাই অচেতন
ঘুমের প্রতি মমতা জড়াইয়া অচিন্ত্যনীয় স্বপ্নে বিভোর ৷
স্বপ্ন শেষ শূন্যতা
বালিশ আর নকশী কাঁথার নকশা দেখে
ঐ সময়ে শান্ত হতে হয় ৷
আমি আবোল তাবোল বকছি
মাথা ঝিম ঝিম করছে
প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে
বুঝতেছি মারা যাচ্ছি
নিশিরাত মনে হচ্ছে গোধূলি ৷
'আমি বসে আছি একা ৷ সঙ্গে কিছু ভাবনাও ৷'
সেন্স ফিরেছে আমার
নিজের ভ্রান্তি ধরেছি
লিখলাম একা - বলেছি সঙ্গে কিছু ভাবনাও জড়িত ৷
আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি?
ফ্যাল ফ্যালানো নজরে এদিক ওদিক দেখছি ৷
অদ্ভুত হাসছি,
হঠাৎ গান, বিকট শব্দে বিলাপ করে কাঁদছি ৷ জনতার হাসির উৎসব সৃষ্টি করছি ৷
না তো! আমি তা না ৷ পাগল না ৷
এসেছিলাম নির্জন রাতে বসে বসে ভাববো ৷
সব ভাবনা ৷
জাগতিক ভাবনা ৷
অতীত বিশ্লেষণ করে করে
নির্জন রাতকে ধরে দিব আমার দুঃখ গুলো ৷ আমি হব দুঃখহীন নবীন মানুষ
তখন আমার জীবন উদ্যানে ভরে যাবে
বনফুলে
সানন্দে ভেলিন্দায় বাজাব;
‘ওরে মেলে ধর ডানা
উড়াল দিব মোর ভাবনা ৷'
ফের এলোমেলো সব
আমি বসে আছি একা
নির্জন রাত
একটা পাখি উড়াল দিল ৷
আমি দেখছি ,
উড়াল দিল আমার মন ৷ সটান তমিস্রায় ৷
আঁধারে হারিয়ে গেলাম
কালো আর কালো
নিঃশেষ আমার আপন সত্ত্বা ৷
আমি নেই
আরো অনেকে নেই !
খোঁজার প্রয়োজন নেই
মিশে গেছে সময়ে সময়ে
শুধু মাত্র যোজন যোজন সুখের অভিপ্রায়ে ৷
আর দিয়ে গেছে ভাবনা
মা দিয়েছে ভাবনা
ঝর্ণার মত গতিশীল, পাহাড়ের মত
স্থির সে ভাবনা ৷
স্তনে দুধ জোগাড় করার ভাবনা ৷
জীবন মানে তো ভাবনা
পথে পথে ভাবনা
চলাতেই সেই ভাবনা
কোথাও দাঁড়ালে ভাবনা
মৃত্যুর তরে সব জাগতিক ভাবনা ৷
এতটুকু হতে মনে জাগে মহৎ ভাবনা
কল্পনায় আলপনা দিই হাজারো ভাবনা ৷
কখনো অরুনিমার মতো মেয়ের বাড়তি নখের
ভাবনা ৷
'আমি কি তার?' প্রশ্ন তোলায় আরেক ভাবনা ৷
চাঁদ হেলে পড়ল
চাঁদের আভায় অর্ধেক আলোকিত আমি ৷
বুঝতে পারছি আমি আসক্ত বেদনায়,
না পাওয়ার বেদনায়
যন্ত্রণায় আমার খিটখিটে মস্তিস্ক
আমি বকছি, এলোমেলো বকবকানি ৷
একান্ত নীরবে ৷ নিশি রাতের আঁধারে নিশ্চুপে ৷
আমি হারাতে হারাতে হারালাম সব
নিজের নিয়তির সঙ্গে সঙ্গোপনে মরণ
পণ লড়াইয়ে হেরেছি ৷
মনোবল প্রবল করতে না করতে হেরেছি
নিয়তির আরেক রীতিতে ৷
হেরেছি জীবন আর তার পথের চুক্তিহীন
সন্ধিতে ৷
গভীর রাত
শেষ হতে চলছে
আমিও চলেছি আমার পথে
জেগে থাকার পথে
রাত শেষে দিনের আলোর পথে
একটু সূর্যের দীপ্ত পাওয়ার পথে
অলীক, ভ্রান্ত কিংবা বিভ্রান্তির পর আগত নওল দিবসের পথে ৷