এক এক করে সব গেল রসাতলে
বাপদাদার নৌকা গেল, হালের বলদ
কিছুই নেই অবশিষ্ট ৷
শয়ে শয়ে কানি কানি খেসারি ছিল
বাড়ির সামনে যতদূর চোখ যেত,
ততটুকুতে যে মেষ ছিল তাও তো নেই ৷
আগের লোক গুলো নেই, যাদের হৈ হুল্লোড়
লোকগীতি কৈশোর কি যৌবন দাপিয়ে উল্লাস করেছে, অদ্য কেউ নেই ৷
নিশিরাতে চাঁদনীর আলোয় তামাকের ডিব্বা অবসরে থাকে ৷
পুকুরে মস্ত বড় কোন মাছ নেই, ক্ষেতে নেই
সরিষা, খেজুরে গুঁড়ে সকাল হয় না ৷
কোলাহলে মগ্ন থাকা প্রকাণ্ড বাড়িটির দেরাজে তাল গাছটি শুধু দাঁড়িয়ে আছে ৷
এখন ঢেঁকিতে ধান ভানা হয় না, শ্বাশুড়ীর
তালে তালে বধূদ্বয় ঘেমে একাকার হওয়ার
চিহ্ন মাত্র নেই ৷
শিখা নেই,
শীতল পাটি নেই,
তাল পাতার পাখা নেই,
নকশা আঁকার রং নেই,
পালা করে গীত গাওয়ার সই নেই
জীবনের হাটে বিকিকিনি হল সব, সমস্ত ৷
আধা পাকা কবরে সমাহিত আবুল মাঝি
সৎ মার বিষাদ যন্ত্রণার বলি সহোদর মতি
মালার কবর লতা পাতা সাফ করার কেউ নেই ৷
সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন; সময়ের
টানে কিংবা ধরিত্রীর অমোঘ নিয়মে থেমে
গেল যাদের কোলাহল ৷
২১ মে ১৭ সাল